
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে রাজনীতিবিদদের মিথ্যাচার রুখতে কঠোর আইন প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছে। জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার ও যোগ্য নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে ওয়েলস পার্লামেন্ট সেনেভের মানদণ্ড বিষয়ক কমিটি। আগামী বছরের মধ্যেই এই প্রস্তাব আইনে পরিণত হতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নতুন আইনের আওতায় নির্বাচনে প্রার্থীদের দেওয়া ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এতে মিথ্যাচারকারী রাজনীতিকদের আইনগত বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
রাজনীতিকদের সততা নিশ্চিত করতে নতুন বিধান
ওয়েলস পার্লামেন্টের মানদণ্ড কমিটি বিদ্যমান আচরণবিধিকে আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে। নতুন বিধানে স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে যে, সেনেভের ভেতরে ও বাইরে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা তথ্য দিতে পারবেন না।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায়:
মিথ্যাচার হলে শাস্তি কী?
ওয়েলসে বর্তমানে একটি আইন রয়েছে, যা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর চরিত্রহানিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। নতুন প্রস্তাবিত আইনটি এর আওতা বাড়িয়ে নিশ্চিত করবে, যাতে নির্বাচনী সুবিধার জন্য যেকোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়। আইন লঙ্ঘন করলে প্রার্থীরা পুলিশের তদন্ত এবং নির্বাচনী আদালতের বিচারের মুখোমুখি হবেন।
নির্বাচনী সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
ওয়েলসের রাজনীতিতে এই আইন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ আগামী বছরের নির্বাচনে ভোটিং পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে এবং আসনসংখ্যা বাড়ছে। ফলে, রাজনৈতিক প্রচারণা আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।
পার্লামেন্টের মানদণ্ড বিষয়ক কমিটির চেয়ার হান্নাহ ব্লিথিন বলেন, “জনগণ যেন তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিশ্বাস করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা জরুরি। আমাদের সুপারিশের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, ইচ্ছাকৃত মিথ্যাচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।”
ওয়েলস সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “প্রতিবেদনের সুপারিশ ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।”
এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, এটি হবে বিশ্বের প্রথম কোনো আইন, যা রাজনীতিতে মিথ্যাচারকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি
Posted ০৮:৫২ | সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain