| সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছোট কাশর এলাকার দরিদ্র কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক। জমি চাষ করার জন্য নেই তার বলদ। ফলে পাওয়ার ট্রিলার (কলের নাঙ্গল) দিয়ে চাষ করছিলেন।
কিন্তু টাকার অভাবে কয়েকদিন ধরে ক্ষেতে মই দিতে পারছিলেন না। অনেক জায়গায় টাকা ধার চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তাই নিরুপায় হয়ে জোয়াল টানছেন তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও ছেলে মাহদি হাসান এবং নিজে মইয়ের পেছনে ধরে সহযোগিতা করছেন আবু বক্কর।
এক মেয়ে ও তিন ছেলের জনক আবু বক্করের বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। মেজ ছেলে গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
আবু বক্করের স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, সংসারে উপার্জনের লোক নেই। তাই কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য স্বামীকে সহযোগিতা করছেন। কারও কাছে টাকা ধার চেয়ে না পাওয়া এবং পেলেও সময়মতো পরিশোধ করতে না পারলে অনেক কথা শুনতে হয়।
বাবার কাজে সহায়তা করা ছোট ছেলে মাহাদী হাসান সুমন দশম শ্রেণির ছাত্র।
সুমন জানায়, করোনার জন্য স্কুল বন্ধ। তার বাবা মূলত কৃষক। এখন বাবার বয়স হয়েছে তাই কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। এলাকায় কাজের লোক পেলেও পারিশ্রমিক দিতে হয় বেশি। তাই মাকে নিয়েই কাজে নেমেছে সে।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নারগিস আক্তার বলেন, অভাবের তাড়নায় স্ত্রী-সন্তানকে দিয়ে হাল চাষ করানো দুঃখজনক। তাদের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন তিনি।সূএ:ঢাকাটাইমস
Posted ১৩:৩২ | সোমবার, ১১ জানুয়ারি ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain