শনিবার ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০৩ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। যেটি বর্তমান সরকার দিচ্ছে। প্রতিদিনই টেলিভিশনগুলোতে টক শোর মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা হয়। তাতে কিন্তু সরকার হস্তক্ষেপ করে না, কারণ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী।

 

আজ (০৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  এ কথা বলেন।

পুঁজির দৌরাত্ম্য এখন সাংবাদিকতার এখন অন্যতম সমস্যা এমন দাবি করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন,  টাকা থাকলেই মালিকরা এখন গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন, যার খড়গ এসে পড়ে সাংবাদিকদের ওপর। কোনো সংবাদ লেখার সময় তাকে চিন্তা করতে হয়, যে তা মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে গেল কি না।

 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমের এই স্বাধীনতার পাশাপাশি তাদের দায়িত্বশীলতার জায়গা বজায় রাখতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, সিঙ্গাপুরের চারটি টেলিভিশন সরাসরি নিয়ন্ত্রিত। মালয়েশিয়ার মিডিয়া তাদের সরকার নিয়ন্ত্রিত। ভুল/অসত্য তথ্য বা সংবাদের জন্য যুক্তরাজ্যে প্রতি মাসে অসংখ্য লোককে জরিমানা করা হয়। আমাদের দেশে কিন্তু সেসব নেই। সুতরাং এই স্বাধীনতার পাশাপাশি গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দিলে সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে।

 

সবাইকে সুরক্ষা দিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি তৈরি হয়েছে সর্বস্তরের মানুষকে প্রোটেকশন দেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা সত্য যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তার অপপ্রয়োগ হচ্ছে। আমরা চাই না কোনো আইনেরই অপপ্রয়োগ হোক।

 

অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আজকের দিনটি হলো সাংবাদিকদের এগিয়ে যাওয়ার দিন। তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের জন্য মূলধারার সাংবাদিকরা প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই দ্রুত এই আইনের সংশোধন দরকার।

 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আমরাও সেটা চাই, তবে স্বাধীনতার সঙ্গে আমাদেরকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশের মূল চেতনাকে আঘাত করে, এমন কিছু করা যাবে না।

 

সভায় বক্তব্য রাখেন— দৈনিক সমকালের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুইয়া, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৪ | বুধবার, ০৩ মে ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(732 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com