শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

মার্চ থেকে বিমান বাংলাদেশের টিকিটসহ যাত্রীসেবা ডিজিটালাইজড হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

  |   বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট

মার্চ থেকে বিমান বাংলাদেশের টিকিটসহ যাত্রীসেবা ডিজিটালাইজড হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই এয়ারলাইন্সের যাত্রীসেবা আরও উন্নত করতে চায় সরকার।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ, উদ্বোধন খাম উন্মোচন এবং শুভেচ্ছা স্মারক গ্রহণ করেন। স্মারক ডাকটিকিটের মূল্য ১০ টাকা।

 

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমটাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দিচ্ছে। অনলাইনে টিকেটিং, রিজার্ভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেকইন সব কিছু অনলাইনে হবে। এটা আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর সব দেশে এই ব্যবস্থাটা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যতবার দেশের বাইরে গিয়েছি তখন সব সময় আমার একটা লক্ষ্য ছিল যে আমাদের নিজেদের বিমান ব্যবহার করবো। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা আছে যে তখন বিমানের কী বিদ্ধস্ত অবস্থা ছিল। ৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি। যদিও তখন আর্থিকভাবে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। তার মাঝেও আমরা চেষ্টা করেছিলাম বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স উন্নয়নে আরও কিছু বিমান বহরে যুক্ত হোক। আমাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো আরও চালু হোক সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। মাত্র পাঁচ বছর হাতে সময়, সেভাবে কাজ করে যেতে পারিনি। তবুও আমরা কাজ করেছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, দ্বিতীয়বার আমি যখন সরকারে আসি ২০০৮ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯-এ, তখন আমরা লক্ষ্য করি বাংলাদেশ বিমান নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস, প্যারিস, ফ্রাংকফুর্ট, মুম্বাই, নারিতা এবং ইয়াঙ্গুন রুটে যে বিমান চলাচল করতো সে গুলি সব লোকসান দেয় এবং একে একে সব বন্ধই করে দিতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই যে জরাজীর্ণ একটা বিমান। এমন কী একটা গানও শোনা যেতো না। যদি আমি জানলার সিটে বসতাম তখন তো ঝর ঝর করে পানি পড়তো। কোনো মতে কাপড় দিয়ে সে পানি বন্ধ করা হতো। এমনই আমাদের বিমানের দুর্দশা ছিল। বরং আমি আমাদের পাইলটদের সব সময় ধন্যবাদ জানাতাম যে এ ধরনের ঝরঝরা অবস্থায় সাহস করে তারা যে বিমান চালাচ্ছে এটাই একটা বড় জিনিস ছিল আমার কাছে মনে হতো সেটা।

 

বিমানের এ দুরবস্থা নিরসনে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে ৪টি বৃহৎ পরিসরের বোয়িং-৭৭৭-৩০০-ইআর, চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ৪টি ৭৮৭-৮ ও ২টি ৭৮৭-৯ সহ মোট ৬টি ড্রীমলাইনার, ৬টি ৭৩৭-৮০০ এবং ৫টি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। এই ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৮টি উড়োজাহাজই বিমানের নিজস্ব মালিকানাধীন। অনেকগুলো আমাদের সময়েই সংগ্রহ বা ক্রয়কৃত।

 

সরকার প্রধান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং দক্ষ জনবল দ্বারা অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৭৭ ৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার রিপ্লেসমেন্ট এবং বোয়িং ৭৮৭ এর সি-চেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। বাংলাদেশে গমনাগমনকারী সকল এয়ারলাইন্সকে বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা প্রদান করে থাকে। একটি দক্ষ এবং অত্যন্ত কার্যকর গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ইউনিট গড়ে তোলা হচ্ছে। চতুর্থ প্রজন্মের বিমান সংযুক্ত হওয়ায় যাত্রীদেরকে আকাশে ওয়াইফাই সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রকার ইনফ্লাইট বিনোদন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরসমূহে পাশ্বর্বর্তী শহরের যাত্রীদের আরামদায়ক গমনাগমনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনোরম কোচ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

 

‘আমাদের ঢাকায় যে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। করোনার সময়েও কিন্তু এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। কাজ অব্যাহত রয়েছে। উচ্চশক্তি সম্পন্ন রাডার আমরা স্থাপন করবো, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। যেটা আমাদের বিমান চলাচলে, শুধু আমাদের বিমান না আমাদের আকাশ সীমা দিয়ে অন্য যত দেশের বিমানই যাক সকলের জন্যই সেটা আমরা করে দিচ্ছি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আমরা সম্প্রসারণ করে সেটাকে আমরা আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। কারণ আমাদের এই বিমানটা আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে পড়ে যে জন্য এই জায়গাটায় আমাদের অনেক অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে আমাদের যোগাযোগটা আরও বাড়ানোর দরকার।

 

তিনি বলেন, মালদ্বীপে ইতিমধ্যে বেসরকারি খাত থেকে বিমান যাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ বিমান এয়ার লাইন্সও আমি মনে করি যে আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সব জায়গায় লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখার দরকার নেই। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা এবং কার্গো পরিবহন এটা একান্তভাবে দরকার।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:৩৮ | বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com