বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত

  |   শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত

টঙ্গীর তুরাগ তীরে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে না। নির্বাচনের পর সুবিধাজনক সময়ে এই ইজতেমা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ জামায়াতের দুই পক্ষ ও কয়েকজন আলেম এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে উচ্চ পর্যায়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়। পরে রাতে সভার সিদ্ধান্ত সর্ম্পকে জানা যায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান জানান, নির্বাচনের আগে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ। এ ছাড়া তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ আছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভায় সব পক্ষ মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সচিব আরো জানান, নির্বাচনের পর তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষ বসে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করবে। সেই তারিখ অনুযায়ী বিশ্ব ইজতেমা হবে। এত সরকারের পক্ষ হতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে আজ শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরেকটি বৈঠক হবে। বিশ্ব ইজতেমার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা গেছে, সভায় তাবলিগ জামাতের মুরব্বিদের মধ্যে শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আলেমদের মধ্যে শোলাকিয়া ঈদগাহর খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ও গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতিব মাওলানা মাহমুদুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নাল আবেদিন, পুলিশের আইজি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ধর্মসচিব, সেতু বিভাগের সচিব, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামায়াতের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও নিজামুদ্দীন মারকাজের বিরোধিতা করছেন পাকিস্থানের তাবলিগি নেতৃবৃন্দ। তাই তাবলিগের মূল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজামুদ্দীন মারকাজের সমান ক্ষমতা দাবি করে আলমি শুরা গঠন করে রাইভেন্ড মার্কাজ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি। ১১ জন শুরা সদস্যের মাঝে ছয়জন নিজামুদ্দীনের পক্ষে থাকলেও বাকি পাঁচজন আলমি শুরার পক্ষে অবস্থান নেন।

এ অংশের বিরোধিতায় বিগত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ ও নিজামুদ্দীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে পারেননি। পরে কাকরাইল মসজিদে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর বিরোধিতা করে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে অপর পক্ষ।

তাবলিগ জামাতের ইতিহাসে এ প্রথম ইজতেমা ও জোড়ের তারিখ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্ব নিরসনেই গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩১ | শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com