নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
ক্রিকেটে আবারও ম্যাচ গড়াপেটার (ফিক্সিং) কালো ছায়া পড়তে শুরু করেছে। আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখা এবার আবুধাবি টি-টোয়েন্টি লিগের তদন্ত শুরু করেছে। ২৩ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে দুর্নীতির ৬টি মামলার তদন্ত করছে আইসিসি।
মোট ৮টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে চলা টুর্নামেন্টে ফাইনালসহ ৩৩টি ম্যাচ খেলা হয়। ফাইনালে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটরস ৩৭ রানে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন শাখা টুর্নামেন্ট চলাকালীন এক ডজনেরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছিল। ম্যাচ গড়াপেটার কার্যকলাপ নিয়ে তদন্ত শুরু করছে আইসিসি।
বলা হয়েছে যে, টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার বাজি ধরা হয়েছিল। প্রতিটি ম্যাচে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার করে বাজি হয়।
লিগটি সম্পূর্ণভাবে বেটিং কোম্পানিগুলির দ্বারাই স্পনসর করা হয়েছিল এবং এটি দৃঢ় ভাবে দাবি করা হয় যে, ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকেরা দলের বোলিং এবং ব্যাটিং কম্বিনেশনগুলি ঠিক করে দিয়েছিলেন এবং তারকা ক্রিকেটারদের স্বল্প নোটিশে বাদ দেওয়া হয়। এমনও দেখা গেছে, অনেক ব্যাটারই খারাপ শট খেলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের উইকেট ছুড়ে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, খেলোয়াড় এবং দলের মালিকদের মধ্যে কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়েছিল আইসিসি।
আবুধাবি টি-টেন লিগের শেষ হওয়া ষষ্ঠ আসরে সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, ডোয়াইন ব্র্যাভো, কায়রন পোলার্ড, নিকোলাস পুরান, সিকান্দার রাজা, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা, সুরেশ রায়নার মতো তারকারা অংশ নেন। এমন একটি লিগে দুর্নীতির অভিযোগ নিঃসন্দেহে তাদের অস্বস্তিতে ফেলবে।
সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম
Posted ০৭:৫৪ | রবিবার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain