এবার চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে হুমকির প্রতিবাদে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন পণ্ড করে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই আয়োজন না করার জন্য শ্রেণিকক্ষে গিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। পরে শ্রেণিকক্ষে বসে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
সেখানেও ছাত্রলীগ বাধা দেয়। এবার প্রশাসন শ্রেণিকক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার থেকে ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিস্টরা জানান, সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খ. আলী আর রাজীকে ছাত্রলীগের হুমকি, অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও হেনস্থার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা অনুষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করতে গেলে কয়েকশ’ ছাত্রলীগ কর্মী তাতে বাধা দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ করতে চাইলে সেখানেও বাধার সম্মুখীন হয়।

পরে বিভাগের জ্যেষ্ঠ ছাত্রদের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে যায়। পরে সকল সেশনের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ জানায়। যতদিন শ্রেণিকক্ষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে না- ততদিন তারা ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানাগেছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে। ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গ্রন্থনা সম্পাদক ইকবাল হোসাইন টিপু বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকুক। সেজন্য কোন উষ্কানিমূলক কর্মসূচি এখানে হতে দিব না। আমরা মানববন্ধন পণ্ড করিনি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা উল্টো পথে হাটতে চায়।
এদিকে, ‘কোটা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলাম এবং শিক্ষক খ. আলী আল রাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

তাছাড়া ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়কে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগ’ তদন্ত করতে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু নোমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দ্রুত এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।