| শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
জাহাঙ্গীর আলম, রাবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগীতার ফাইনাল ম্যাচে ‘খেলার নামে তামাশা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খেলা দেখতে আসা দর্শকেরা । খেলায় ৪-০ গোলে যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (যবিপ্রবি) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। শনিবার বিকেল ৪ টায় রাবির শেখ কামাল স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, খেলা শুরুর প্রথমেই ১ গোলে এগিয়ে যায় যবিপ্রবি। এরপর ১৫ মিনিট সময়ে সমতায় ফেরে স্বাগতিক দল। বিরতির আগে দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে যায় রাবি। খেলার প্রায় শেষার্ধে এক গোল করার পর বাধে বিপত্তি। নিরাপত্তা সংকটের কারণ উল্লেখ করে হঠাৎ মাঠ ছেড়ে চলে যায় যবিপ্রবির খেলোয়াড়েরা। এসময় তারা রেফারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে। মিনিট দশেক পর আবার তারা মাঠে ফিরলেও খেলায় মনোযোগী হয় নি। চতুর্থ গোল করার সময় কোনো প্রকার খেলোয়াড়ি মনোভাব ছিলো না আমন্ত্রিত দলের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে অন্যান্য নেতাকর্মীরা যবিপ্রবির গোল বারের পিছনে অবস্থান নেয়। তৃতীয় গোল হওয়ার সময় তারা উল্লাসে মাঠে চলে আসে। যার ফলেই নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে আমন্ত্রিত দল মাঠ ছেড়ে চলে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগে পড়–য়া নাঈম নামের এক দর্শক বলেন, ‘মাঠে দর্শকরা প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। তারপর যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা বিরতির পর মাঠ ছেড়ে চলে আসে। পরে আবার প্রক্টরের আলোচনার পর মাঠে ফিরে। কিন্তু তারা খেলা দেখায় নি, তামাশা দেখিয়েছে দর্শকদের।
স্কোরবোর্ডের দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, হাজারো দর্শক মাঠে খেলা দেখতে এসেছে, তামাশা নয়। যবিপ্রবির খেলোয়াড়েরা আমাদেরকে তামাশা দেখিয়েছে। তারা খেলতে এসে মাঠে শুধু দাড়িয়ে থেকেছে। যা কখনোই খেলার মাঠে কাম্য নয়।
Posted ১৮:৪৪ | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin