সোমবার ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুনি-গডফাদারদের আশ্রয় দিয়ে সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে : মির্জা আলমগীর

  |   শনিবার, ০৭ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট

fokrul

ঢাকা, ৭ জুন  : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার শুধু পেশাদার খুনি নয়, যারা কখনো খুন করে নাই- তাদেরকেও খুন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এমনকি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও খুনি বানিয়েছে। তিনি বলেন, এ সরকার অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে।

শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সাংবাদিক মহিউদ্দিন খান মোহনের লেখা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবনী নির্ভর উপন্যাস ‘প্রাচীর’ এর প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ওসমান পরিবারের পক্ষ নিয়ে শুধুমাত্র শামীম ওসমানই নয়; বরং জয়নাল হাজারী, তাহেরসহ সব সন্ত্রাসী গডফাদারের পক্ষ নিয়েছেন। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে।

সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। কারণ শহীদ জিয়া এদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সব সময় গণমানুষের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছেন। তিনি তার কর্ম ও আদর্শ দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

মহিউদ্দিন খান মোহনের লেখা উপন্যাস গ্রন্থের প্রশংসা করে বিএনপি নেতা বলেন, এ বই নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করবে। বইটি এমন সময় প্রকাশিত হলো যখন জিয়ার নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বইটি লিখে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই তাকে ধন্যবাদ জানাই।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ঘটনাবলী নিয়ে কোনো উপন্যাস লেখা হয় নাই। যা পৃথিবীর প্রায় সব বিখ্যাত লেখকরাই করেছেন। বাংলাদেশেও ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ও মহান নেতাদের জীবনী নিয়ে উপন্যাস লেখা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সব ক্রান্তিকালে ও যুগান্তরের সময়ই কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটে। তেমনি ওয়ান ইলেভেনের সময় দেশে যখন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন এমনই একজন ব্যাক্তির আবির্ভাব ঘটেছিল; তিনি হলেন- বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন। আর তার সাথে সক্রিয়ভাবে যাকে দেখা গেছে, তিনি হলেন- প্রাচীর বইয়ের লেখক মহিউদ্দিন খান মোহন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে তার মতো চৌকশ ব্যাক্তিকে আমরা রাজনীতিতে কাজে লাগাতে পারিনি।

প্রাচীর বইয়ের প্রশংসা করে রিজভী আহমেদ বলেন, মহিউদ্দিন খান মোহন তার সুলোলিত ভাষায় প্রাঞ্জল বাক্যবিন্যাসে উপন্যাসটি লিখেছেন। যা পাঠক সমাজকে আকর্ষণ করবে। কোনো লেখা যদি তার পাঠককে আকর্ষণ করতে না পারে- সেটা কোনো লেখাই না। সেই হিসেবে মহিউদ্দিন খান মোহন একজন যোগ্য ও স্বার্থক কলমবাজ। তার যথাযথ মূল্যায়ন প্রয়োজন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রাচীর’ বইটি একদিন ওয়্যার এন্ড পিস বইয়ের মতো জগৎবিখ্যাত কালজয়ী উপন্যাসে পরিণত হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব ও জাস্ট নিউজবিডি ডটকমের সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই ছিলেন এদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের একমাত্র ঘোষক- এতে কোনো সন্দেহ নাই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তাদের বইয়ে জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাজউদ্দিন কন্যা শারমীন তার সদ্য প্রকাশিত বইয়েও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক এবং তার ঘোষণা শুনেই তাজউদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শারমিনের ওই বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে ড. কামাল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমণিরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় শারমীনের এ সাহসিকতার জন্য তারা তাকে বাহবা জানিয়েছিলেন।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, আমরা এখন একটি কঠিন সময় পার করছি। এ সময়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে অবৈধ একটি সরকার জগদ্দল পাথরের ন্যায় জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। অন্যদিকে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম-নিশানা মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারী, তারুন্যের অহঙ্কার তারেক রহমান ইতিহাস থেকে কোড করে কিছু সত্য তুলে ধরেছেন। আর এতেই আওয়ামী লীগের গা-জ্বালা শুরু হয়ে গেছে। তারা তারেক রহমানের বক্তব্যের যুক্তিসঙ্গত উত্তর না দিতে পেরে নোংড়া ভাষায় গালি-গালাজ করছে। তারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় জাতীয় সংসদে বসেও একে অপরের কুৎসা রটনানোয় ব্যস্ত।

তিনি বলেন, ঠিক এই সময়েই মহিউদ্দিন মোহন তার ‘প্রাচীর’ নামক বইটি লিখে আওয়ামী লীগের গালমন্দের ভদ্রচিত জবাব দিয়েছেন।

মহিউদ্দিন খান মোহনের লেখা বইয়ের প্রশংসা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ প্রেসসচিব বলেন, এ বইটি শহীদ জিয়া ও তার রাজনৈতিক ঘটনাবলী নিয়ে লেখা প্রথম বই। সম্পূর্ণ ইতিহাস নির্ভর একটি বই। আমি আশা করি, বইটি পাঠক সমাজকে অনেক উজ্জীবিত করবে। এ বইটি একদিন ইতিহাসে স্থান করে নেবে। কারণ, সত্য সমাগত- মিথ্যা অপসৃত। সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।

আলহাজ্ব শফি বিক্রমপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, প্রাচীর বইয়ের লেখক মহিউদ্দিন খান মোহন, ঢাবি সিনেট সদস্য লিয়াকত আলী, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:৪৬ | শনিবার, ০৭ জুন ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com