| সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি, ১৪৩৫ হিজরী (২০১৪ খ্রিস্টাব্দ) ও হজ প্যাকেজ, ২০১৪ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, এ বছর সরকারি ও বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে যাবেন।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে হজ পালনের দু’টি প্যাকেজ রয়েছে। কোরবানির খরচ বাদে প্রথম প্যাকেজে ব্যয় হবে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৬ টাকা ও দ্বিতীয় প্যাকেজে ব্যয় হবে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৬ টাকা।
কোরবানি বাবদ প্রত্যেক হাজিকে আলাদাভাবে ৫০০ সৌদি রিয়াল বা বাংলাদেশি আরও সাড়ে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি এ প্যাকেজসমূহে থাকা ও খাওয়ার বিষয়টি সৌদি সরকার মনিটরিং করবে।
তিনি বলেন, “বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একজন বাংলাদেশির হজ পালনে ব্যয় হবে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৬ টাকা।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার সৌদি সরকার ২০ শতাংশ কম হাজির হজ পালনের অনুমতি দিচ্ছেন। মক্কার হেরেম শরিফে সংস্কার কাজ করার কারণে সৌদি সরকার এ বছর কোটা নির্ধারণ করেছেন। ফলে গতবারের চেয়ে এবার বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা কমবে। তবে ২০১৫ সালের পর থেকে আবার অধিক সংখ্যায় বাংলাদেশিরা হজ পালন করতে পারবেন।”
তিনি বলেন, “চাঁদ দেয়া সাপেক্ষে সৌদি সরকার সে দেশের জন্য ঈদ-উল-আজহার তারিখ নির্ধারণ করেছে ৪ অক্টোবর।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪’, ‘বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪’ ও ‘খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪’ এর খসড়ায়ও নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর অন্তবর্তীকালীন পরিষদের প্রতিনিধি সংখ্যা ৫ থেকে ১১ জনে বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর আইনেই আছে পরিষদ নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হবে। এতে প্রত্যেক পরিষদে ১ জন চেয়ারম্যান, ২০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উপজাতি প্রতিনিধি, ১০ জন অ-উপজাতি প্রতিনিধি ও ৩ জন নারী উপজাতি প্রতিনিধি নিয়ে মোট ৩৪ সদস্যের পরিষদ হবে। তারা সবাই নির্বাচিত হবেন।”
তিনি বলেন, তবে নির্বাচিত পরিষদ না থাকলে সরকার অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো পরিচালনা করে থাকেন। বর্তমানে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি দ্বারাই পরিষদগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ ১ জন চেয়ারম্যান,৩ জন উপজাতি ও ১ জন অ-উপজাতি প্রতিনিধি অর্থাৎ মোট ৫ সদস্যের পরিষদ নিয়ে বর্তমানে এসব পরিষদ কাজ করে চলেছে। এতে সব উপজাতির প্রতিনিধি না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে সব উপজাতির প্রতিনিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের আকার ৫ থেকে বাড়িয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এখন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সংশোধিত খসড়াটি আইনে পরিণত করার জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, ১১ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে ১ জন চেয়ারম্যান ও ১০ জন সদস্য থাকবেন। সদস্যদের মধ্য থেকে ৭ জন উপজাতি ও ৩ জন অ-উপজাতি প্রতিনিধি থাকবেন। এর ফলে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদেরই আধিপত্য বজায় থাকবে।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের স্থায়ীরূপ দিতেই আনা হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব না-সূচক উত্তর দিয়ে বলেন, “সরকারের কোনো অসুস্থ অভিপ্রায় নেই।”
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মো. নাসিমের ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সৌদি ও সুইজারল্যান্ড সফরের বিষয় মন্ত্রিসভার এ সভায় অবহিত করা হয়।
বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালযের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীবর্গ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১২:০৪ | সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin