| শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউসে শনিবার (০৫ অক্টোবর) সকালে দুই নেতার এ শীর্ষ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেন শেখ হাসিনা-মোদি। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, গঙ্গা ও তিস্তার পানিবন্টন ছাড়াও সাতটি অভিন্ন নদীর পানি বন্টনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ সময় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে অমিমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসে। এ সময় দুদেশের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে খুলনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ার্সে বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইপিএসডি); রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকায় বিবেকানন্দ ভবন উদ্বোধন ও বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি আমদানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। পরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন এই দুই সরকার প্রধান। বৈঠকে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। তিনি ২০১৭ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ ভারত সফর করেন।
Posted ১৬:৩৭ | শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain