ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর মরদেহ নেয়া হচ্ছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে বেলা তিনটায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদ সদস্যরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুর পর এভাবে শ্রদ্ধা জানানোর রীতি আছে। ক্যান্সারজাতীয় রোগে ভোগা সুরঞ্জিত রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।

বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিতের মৃত্যুর পর তার মরদেহ নেয়া জয় জিগাতলায় নিজ বাসভবনে। সেখানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা শ্রদ্ধা জানান।

সেখান থেকে বেলা ১২টায় সুরঞ্জিতের মরদেহ নেয়া হয় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিরা এখানেও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে সুরঞ্জিতকে নেয়া হবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।

বেলা ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা অবধি সুরঞ্জিতের মরদেহ রাখা হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। এরপর সেখান থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সুরঞ্জিতের কফিন রওয়ানা হয় সংসদ ভবনের উদ্দেশে।

আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ নিজ জেলা সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। এ দিন দুপুর ১টায় তাঁর নির্বাচনী এলাকা শাল্লা এবং বিকাল ৩টায় দিরাই উপজেলায় সাধারণ মানুষ তাদের নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। দিরাইয়ে তাঁর শেষকৃত্য হবে। শেষকৃত্যের আগে মুক্তিযোদ্ধা সুরঞ্জিতকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হবে।