নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ | প্রিন্ট
কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদত সম্পন্ন করার পদ্ধতি রয়েছে। সুন্নাহর বিপরীত পদ্ধতিতে কোরবানি করলে তা শুদ্ধ হয় না। এছাড়াও কোরবানি হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। হারাম টাকায় কোরবানি করলেও কোরবানি সহিহ হয় না।
আল্লাহ মূলত বান্দার তাকওয়াটাই যাচাই করেন কোরবানির মাধ্যমে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর নিকট এগুলোর গোশত এবং রক্ত পৌঁছায় না, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদের।’ (সুরা হজ: ৩৭)
প্রশ্ন হলো- যদি কয়েকজন গরিব মিলে হালাল টাকায় শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কোরবানির পশুতে এক ভাগ নিতে চায়, তাহলে জায়েজ হবে কি না?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, এক গরুতে সাত জনের বেশি শরিক হওয়া বৈধ নয়। সাত জনের বেশি শরিক হলে কারো কোরবানি সহিহ হবে না। চাই অংশীদারগণ গরিব হোক কিংবা ধনী। তাই কোরবানির পশুতে ওভাবে শরিক নেওয়া যাবে না। একান্ত কখনও এমন করতে চাইলে এক ভাগের সকল অংশীদার একজনকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে। অতঃপর ওই ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে ওই অংশ কোরবানি দিবে। গোশত পাওয়ার পর অংশীদারদের মধ্যে গোশত বণ্টন করে দিতে পারবে।
(খুলাসাতুল ফতোয়া: ৪/৩১৫; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৬; মাজমাউল আনহুর: ৪/১৬৮; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০৫; মাবসুত সারাখসি: ১২/১২; আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৫)
Posted ০৬:৫০ | বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain