নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার থেকে বিরত রাখতে সরকার এরই মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে অনেকটাই কমে এসেছে দ্রব্যমূল্যের বাজার।
শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাধবপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিদের মাঝে রমজানের সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ৫০০ পানচাষি পরিবারদের মাঝে ছোলা, মুড়ি, মেমাই, চিনি, চাল, ডাল ,আলু, লবণ, সয়াবিন তেল এবং শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের নগদ ২ হাজার করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফ ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের ৪ শতাংশ সুদ হারে ব্যাংক থেকে কার্ড করে কৃষি ঋণ অচিরেই দেওয়া হবে। যেসব চাষি বিভিন্ন এনজিও সমিতি থেকে লোন নিয়েছেন, তাদেরকে বলছি- আপনারা আগামী ৪ মাস কোনো কিস্তি নেবেন না। জমির মালিকদের বলছি, বরগা চাষির কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা জমির খাজনা নেবেন না। বড় ব্যবসায়ীরা যারা এই অঞ্চলের পান বরজের উপর অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছেন তারাও ৬ মাস থেকে ১ বছর পর টাকা নেবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের এমপি কামারুল আরেফিন, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুণ্ডু, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল আলম চুনু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত রোববার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পল্লীতে বাহাদুরপুর রায়টা নামক এলাকা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার জুড়ে পান বরজে আগুন ছড়িয়ে পরে। ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, দৌলতপুর, চুয়াডাঙ্গ ও ঈশ্বরদী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডে কয়েক হাজার বরজ পুড়ে যায়।
Posted ১৪:৪৭ | শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain