রবিবার ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক অবরুদ্ধ 

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা   |   মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট

শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক অবরুদ্ধ 

 নওগাঁ :  নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিশইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক (গণিত) আবু হেনা জীমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব ও প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘন্টা তাদের বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হেনা জীম বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময় অসৌজন্য মূলক আচরণসহ প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
এ কারণে সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু হেনা জীম ও অভিভাবক নিয়ে প্রধান শিক্ষক মীমাংসায় বসেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার প্রামানিক  উঠে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়ে কুরুচিপূর্ণ  গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়। কথা গুলো বাহিরে প্রকাশ পেলে দুপুর থেকে স্কুলের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এসে ভিড় জমায় এবং ওই শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরে। সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা ওই শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে তাদের চার ঘন্টা যাবত অফিস কক্ষ ঘেরাও করে রাখেন।
এ ঘটনাটি ব্যাপক জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে  তাদেরকে উদ্ধার করেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা টার দিকে থানা পুলিশের একটি দল উক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজত নিয়ে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক জীমের বিরুদ্ধে পূর্বে প্রধান শিক্ষকের নিকট এইসব বিষয়ে অভিযোগ করলেও তিনি সেটা ধাপাচাপা দেন। এরপরও তিনি এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের প্রলোভনে শারিরীক সম্পর্ক করার কুপ্রস্তাব দেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু হেনা জিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সুশীল কুমার প্রামাণিক বলেন, আমি অসুস্থ এখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন। জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহ আলম বলেন, লোক মুখে ঘটনাটি শুনেছি। সরেজমিনে যাচাই সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:১৯ | মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com