শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

শাহেদকে আশ্রয় দেওয়া কে এই আল ফেরদৌস আলফা?

  |   বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট

শাহেদকে আশ্রয় দেওয়া কে এই আল ফেরদৌস আলফা?

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা শাকরা কোমরপুরের আল ফেরদৌস ওরফে আলফার (৪৯) মাছের ঘেরে আশ্রয় নিয়েছিল বহুরূপী প্রতারক মোহাম্মদ শাহেদ। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত অন্তত চারদিন আলফার মাছের ঘেরে সুসজ্জিত এসি রুমেই রাতযাপন করেছে ৫৬ মামলার আসামি শাহেদ। মূলত আশ্রয়দাতা আলফাই তাকে নৌকা করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করেছিল। আল ফেরদৌস আলফা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ওই অঞ্চলে তিনি একজন কুখ্যাত চোরাকারবারী বলে পরিচিত। কিছুদিন আগেও তিনি চোরাচালান মামলায় জেলে ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই র‌্যাবের একাধিক টিম শাকরা, কোমরপুর গ্রামে অভিযান শুরু করে। সূত্রমতে, এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পায় শাহেদ। তখন আলফার মাছের ঘেরের সুসজ্জিত এসি রুম ছেড়ে ইছামতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত শাকরা খালের সাথে একটি ড্রেনের মধ্যে বোরকা পরে লুকানোর চেষ্টা করে। আর তাকে অবৈধভাবে ভারতে পার করতে ইছামতি নদীতে অপেক্ষায় থাকে শীর্ষ চোরাকারবারী আল ফেরদৌস আলফার তত্ত্বাবধানে থাকা বাচ্চু মাঝি। র‌্যাব যখন তার খুব কাছে চলে যায় তখন পিস্তল তাক করে সে গুলি করার চেষ্টাও করে। তবে র‌্যাবের পেশাদারিত্বের কারণে মুহূর্তেই ধরা পড়ে প্রতারক শাহেদ। তবে তাকে আশ্রয় দেওয়া চোরাকারবারী আল ফেরদৌস আলফা পালিয়ে আছে। পালিয়ে গেছে নৌকার মাঝি বাচ্চুও।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র, গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘আল ফেরদৌস আলফার আশ্রয়ে তার আত্মগোপনের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছিলাম। সেই র‌্যাবের নজরদারির মধ্যেই ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আরাে তদন্ত করবো।

প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার কামালপুর গ্রামে লবঙ্গবতী খালের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এসময় তিনি নদী পার হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। শাহেদ নৌকায় ওঠার পরপরই তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন র‍্যাবের সদস্যরা। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

গত ৬ জুলাই র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন হাসপাতালটির মালিক মোহাম্মদ শাহেদ। ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। ৯ জুলাই শাহেদের মুখপাত্র তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে এবং ১৪ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বুধবার ভোরে শাহেদকেও গ্রেপ্তার করা হলো।সূএ:পূর্বপশ্চিমবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২০:৫৬ | বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com