| বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১ | প্রিন্ট
সরকারি নথি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোজিনার সঙ্গে যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। বিষয়টি লুকানোর কিছু নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটিকয়েক লোকের কারণে আমরা প্রশ্নের মুখে পড়ছি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি জেন-কিউন। সাক্ষাৎ শেষে রোজিনা ইসলামের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশ সরকারের কিছু লুকানোর নেই। পেশাগত দায়িত্বে বাধা আর রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার খবর দুঃখজনক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুটিকয়েক মানুষের জন্য বাংলাদেশের বদনাম হচ্ছে। গুটিকয়েক লোকের জন্য সরকারের অর্জন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয় এবং সরকারের বদনাম হয়।
গুটিকয়েক লোকের আচরণের জন্য আমাদের এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হতে হবে,’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিকরা দুর্নীতির বিষয়ে জনগণ এবং সরকার উভয়কেই সতর্ক করে। সাংবাদিকরা না থাকলে সাহেদ এবং বালিশকাণ্ডের মতো দুর্নীতি প্রকাশ পেত না।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে চীন থেকে ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। এরপর গোপন নথি চুরির অভিযোগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখেন। রাত ৯টার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
পরদিন সকালে রোজিনাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তার রিমান্ডের আবেদন জানালেও আদালত তা নামঞ্জুর করে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ তার জামিনের বিষয়ে শুনানি চলছে।
Posted ১৪:১২ | বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain