| মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
রাজধানীর ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য ইতোমধ্যে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’র (সিআইএমএস) ডাটাবেজে সংরক্ষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।তিনি বলেছেন, বর্তমান যুগে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ডিজিটাল মনিটরিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।একটি টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর মত আমরা ঢাকা শহরের নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছি।
মঙ্গলবার রাজধানীর আফতাব নগরের জহুরুল ইসলাম সিটি সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম শুভ উদ্বোধন ও পুলিশ সেবা সপ্তাহের র্যালি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শুধু অপরাধের জন্য নয়, ডিজিটাল মনিটরিং দেশের সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য আবশ্যক জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা জানেন, গুলশান বনানী, নিকেতন বারিধারায় বিভিন্ন সোসাইটির মাধ্যমে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে এলাকাগুলোকে ডিজিটাল মনিটরিংয়ের ভেতর নিয়ে এসেছি। ফলে ওইসব এলাকাগুলোতে অপরাধ এক প্রকার শূন্য।
তিনি বলেন, এজন্য কোনো এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হলে ওই এলাকার কোন বাসায়-কে লোক বসবাস করে তা সহজেই আমরা খুঁজে বের করতে পারি এ ডাটাবেজের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, মহানগরীতে ছিনতাই-ডাকাতি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির এসব এখন আর নেই বললেই চলে। তারপরও দু একটা ঘটনা সংঘটিত হলে আমরা ন্যূনতম সময়ের মধ্যে তা চিহ্নিত করে ফেলছি। এর কারণ আমরা এখানে প্রযুক্তির ব্যবহার করছি সিসি টিভির মাধ্যমে পর্যালোচনা করছি।
মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আফতাব নগর জহুরুল ইসলাম সিটিতে একশ সিসি ক্যামেরা স্থাপন উদ্বোধন করা হলো। তাতে এখানকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা বলতে পারি, এই সিসিটিভি স্থাপনের মাধ্যমে এলাকায় টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, পৃষ্ঠপোষকতা অথবা সহায়তা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাস নেওয়া হবে। যাতে অন্যরাও দেখে ভয় পায়।
তিনি বলেন, জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও ভুমি দখলকারীরা যতবড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১৪:৩৫ | মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain