| মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯ | প্রিন্ট
বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত ভূমিকা। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত স্রষ্টা। চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং দার্শনিক হিসেবেও বিশেষ খ্যাত। সর্বোপরি, বাঙালি জাতীয়তাবোধের অন্যতম প্রধান রূপকারও তিনি।
৮ মে (বুধবার) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ মে) এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন। তিনিই প্রথম অ-ইউরোপীয় হিসেবে বিশ্বসাহিত্যের এই সর্বোচ্চ স্বীকৃতিটি অর্জন করেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির বহুত্ববাদ, বৌদ্ধ ধর্মের অহিংস ও ইসলাম ধর্মের সুফিবাদ এবং বাংলার বাউলদের ভাববাদী চেতনার সমন্বয় সাধন করে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে মৌলবাদের উত্থান, জাতীয়তাবোধের সংকীর্ণতা, শ্রেণিবৈষম্য, জাতিতে-জাতিতে ও ধর্মে-ধর্মে হানাহানির কারণে রবীন্দ্রনাথ আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। রবীন্দ্রসাহিত্য সবার পাঠ করতে হবে প্রাত্যহিক জীবনবোধের আলোকে। তিনি (রবি ঠাকুর) তৎকালীন পূর্ববঙ্গে অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে আবির্ভূত হয়েছিলেন একজন সমাজসংস্কারক হিসেবে। তিনি দরিদ্র প্রজাদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, সমবায়নীতি ও কল্যাণবৃত্তি চালু করে তাদের ভেতর প্রণোদনা জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। তাঁর প্রবর্তিত সমবায় ব্যাংক, ক্ষুদ্রঋণের প্রচলন পরবর্তীকালে গ্রামীণ উন্নয়নে একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথের শিল্পীসত্তার সঙ্গে একাত্ম হয়েছে মানবিক সত্ত্বাও। ফলে সাধারণ বাঙালির দুঃখ-বেদনার কথক হিসেবে যে রবীন্দ্রনাথকে বাঙালী পেয়েছে তা পূর্ববঙ্গেরই সৃষ্টি। এসবের পাশাপাশি মানুষের প্রত্যক্ষ কল্যাণ কামনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে ভেবেছেন। শিশুসহ নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন শান্তিনিকেতন। সেই সঙ্গে তিনি পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাকেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন।
Posted ২২:৩৮ | মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain