| বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : বৃহস্পতিবার ফাঁসি দেওয়ার আগে কাদের মোল্লাকে গোসল করিয়ে একজন মাওলানার মাধ্যমে তওবা পড়িয়ে নেন কারা কর্তৃপক্ষ।
এ সময় তার কাছ থেকে তার শেষ কোনো কথা থাকলে তাও শুনে নেন কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চে নেওয়ার পর আসামির মাথায় পরানো হয় একটি কালো রংয়ের টুপি। এই টুপিটিকে বলা হয় ‘যমটুপি’।
ফাঁসির মঞ্চে তোলার পর কাদের মোল্লার দুই হাত পিছন দিকে বাধা হয়। এ সময় ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত ছিলেন কারা কর্তৃপক্ষ, সিভিল সার্জন ও একজন ম্যাজিস্ট্রেট। ফাঁসির মঞ্চে প্রস্তুত ছিলেন জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল। মঞ্চে তোলার পর কাদের মোল্লার দুই পায়েও বাধা হয়। পরানো হয় ফাঁসির দড়ি।
কারা কর্তৃপক্ষের হাতে ছিল একটি রুমাল। রুমালটি হাত থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চের লিভারে টান দেন। লিভারটি টান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফাঁসির মঞ্চের নিচে চলে যান কাদের।
এ সময় তিনি মাটি থেকে ৪-৫ ফুট শূন্যে ঝুলে থাকেন। এতে মুহূর্তের মধ্যেই তার ঘাড়ের হাড় ভেঙ্গে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, কাদের মোল্লাসহ জল্লাদ মো. শাহজাহান ভূঁইয়া দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে এ পর্যন্ত মোট ৩৩ জনকে ফাঁসি দিলেন। জল্লাদ শাহজাহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫ ঘাতককে ফাঁসিতে দড়িতে ঝুঁলিয়েছেন।
এছাড়া এদেশের কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যা মামলার আসামি মনিরকে ফাঁসি কার্যকর করেন জল্লাদ শাহজাহান।
Posted ১৯:২১ | বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin