২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একে একতরফা ও মনগড়া বলেছে সরকার।

এই প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে সরকারের ভাষ্য না নেয়াকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূতও বলেছেন সরকারের মুখপাত্র তথ্যমন্ত্রী হানাসুল হক ইনু।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর দিন বুধবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ একতরফা, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন। একটা দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার ক্ষেত্রে ওই দেশের সরকারের ভাষ্য না নেয়াটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ। আমরা এ প্রতিবেদন সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, গুমের অভিযোগ করা হয়ছে। বলা হয়েছে, সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অপরাধে জড়িত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পার পেয়ে গেছেন।

প্রতিবেদনে বহুল আলোচিত ‘বিচার বহির্ভূত হত্যার’ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং অধিকার-এর তথ্যগত অমিল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনায় কাউকে দায়মুক্তি দেয়ার বিষয় বাংলাদেশের আইনে নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গুম-খুনের কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার বিচার চলছে।’

‘অধিকার’ এর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা হেফাজতের তাণ্ডবের সময় মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

আরও আসছে…