সোমবার ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটা চালের দাম আর বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

  |   বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট

মোটা চালের দাম আর বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

চলতি আমন মৌসুমে মোটা চালের দাম আর বাড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা সফল হবে না।’

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ চাল কল মালিত সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

কামরুল ইসলাম বলেন, মোটা চালের সরকারি রেট ৩৩ টাকা। কিন্তু কেজিতে এই চালের দাম বেড়েছে দুই থেকে আড়াই টাকা। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘নিম পিরিয়ডে চালের দাম একটু বাড়ে। তবে এই দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্য আছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর এই সময়ে ভারত থেকে আড়াই থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার এই সময়ে মাত্র ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করায় মোটা চালের দাম একটু বেড়েছে।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘গত বছর শুল্ক ছিল না। কিন্তু এবার শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করেনি। এজন্য আমাদের কৃষকরা লাভ হয়েছে। তারা চালের ন্যায্য দাম পেয়েছে।’

কখনো এই শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা সেই সুযোগ দেবো না। শুল্ক প্রত্যাহার হবে না। আমাদের দেশের কৃষকরা যাতে ভাল থাকে সেই ব্যবস্থাই হয়েছে। ভারত থেকে মোটা চাল না আসলে আমাদের দেশের কৃষকরাই চাল উৎপাদনে বেশি আগ্রহী হবে।’

চালের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে চাল কল মিল মালিক সমিতির নেতাদের ডাকেন খাদ্যমন্ত্রী।

কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘বাস্তব চিত্র জানার জন্য মিল মালিকদের ডাকা হয়েছে। তারা তাদের মতামত দিয়েছে।’

মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ জানান ‘চালের সরকারি রেট ৩৩ টাকা। কিন্তু পাইকারি বাজারে বেশি দাম বাড়েনি। তবে খুচরা বাজারে ৫০ পয়সা দাম বেড়েছে।’ চালের বাজার আর বাড়বে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মৌসুমে আর মোটা চালের দাম বাড়বে না। চিকন চালের দাম এমনিতেই বাড়েনি। সেটি স্থিতিশীল অবস্থায়ই আছে। ভারত থেকে মোটা চাল আসা বন্ধ থাকায় দাম একটু বেড়েছে। এতে কৃষকরা উপকৃত হয়েছে। তবে নতুন করে মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। আগে এই চালের দাম ৩১ থেকে ৩২ টাকার মধ্যেই ছিল। এরপর এটি ৩৩ টাকা হয়েছে। এটা সরকারি রেট। সেখান থেকে সাড়ে ৩৩ টাকা বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।’

তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইমলাম জানান, ‘চিকন চালের দাম বাড়েনি। মোটা চালের দাম দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। পাইকারিতে ৩৩ টাকা থেকে সাড়ে ৩৩ টাকার মধ্যে আছে। বাকিটা খুচরা বাজারে বেড়েছে। আর আমরা সরকারিভাবে ৩৩ টাকায় আমন চাল সংগ্রহ করছি।’

কামরুল ইসলাম জানান, ‘এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ মেট্রিক টন আমন চাল সংগ্রহ করা। ইতোমধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে অতিরিক্ত সংগ্রহ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল ঘরে এসেছে। আরও চুক্তি হয়েছে ৪ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টনের। মার্চ পর্যন্ত আমন সংগ্রহ চলবে।’

খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে ফ্রি স্টাইলে চাল আনতো। এখন আর সেই সুযোগ নেই। আগামী জুন মাসের বোরো ধান রোপন শুরু হচ্ছে। এরপর আর মোটা চালের সমস্যা থাকবে না। কৃষকরা তাদের ন্যায্য হিস্যা পাবে। এতে তারা লাভবান হচ্ছে। কৃষকের ক্ষতি হতে দেবো না।’

এখন পর্যন্ত নয় লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যের সমস্যা নেই। চাল মজুদের জন্য পাইপ লাইনে আছে ৯০ হাজার মেট্রিক টন চাল। ২ লাখ মেট্রিক টন গম মজুদ আছে। এখন আর বেশি চাল মজুদ করতে হয় না। কারণ টিআর, কাবিখা আর এখন নেই। এখন এসব টাকায় কনভার্ট হয়ে গেছে। ফলে চাল আর বেশি মজুদ রাখতে হয় না।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২১ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com