নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, মানুষ মানেই ভুল। শয়তান ও ফেরেশতা শুধু ভুল করে না। মানুষ হিসেবে কোনো ভুল করে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। দোয়া করবেন যেন মানুষকে খুশি করতে পারি।
শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এই এমপি বলেন, আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আগামীকাল থাকবো কিনা জানি না। মৃত্যু বলে আসে না। কোন বয়সে মৃত্যু আসবে জানি না। পৃথিবীতে একটাই সত্য, আমাদের যেতে হবে। এটা আমরা কেন যেন বিশ্বাস করতে পারি না। এটা বিশ্বাস করলে মনুষ্যত্ব কমে না।
তিনি বলেন, মানুষের মনুষ্যত্বের অভাব। একদিকে মানবাধিকারের কথা বলে আরেকদিকে গাজায় মানুষদের মারছে। আমরা ধর্মও পালন করি আবার গোডাউনে সব জমা করি বেশি লাভ করতে।
শামীম ওসমান বলেন, রাসূল (সা.) বিদায় হজ্জে বলে গিয়েছিলেন তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে। আজ এখানে পরিবেশ কত সুন্দর। এখানে সকল ধর্মের লোক আছে। মুসলিমরা একটু পরে খাবে সেজন্য হিন্দু ভাইরাও বসে আছে। ধর্ম আমরা পালন করবো রেজাল্ট দেখবে আল্লাহ। আমরা ধর্মকে জটিল করে ফেলি। অনেকে মাজহাব দিয়ে ভাগ করে। রাসূল বলেছেন কোরআন ফলো করতে আর তাকে ফলো করতে।
‘নারায়ণগঞ্জের টাউন হলে জাতির পিতা ছয় দফা ঘোষণা করেছে। আমার বাবা এটার সভাপতিত্ব করেছিল। এটার কাগজ পেয়েছি আমরা। এখানে একটি খোলা মাঠ হবে ও মিউজিয়াম হবে। আমাদের পূর্ব পুরষরা যাই করে গেছে তাদের স্মৃতি আমরা সেখানে ধারণ করে রাখবো,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি দোয়া চাই আপনাদের কাছে। আমরা ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক করছি, জুন মাসে শেষ হবে। এটা অত্যান্ত দৃষ্টিনন্দন রাস্তা হবে। এরপরেই বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজ হবে। শেখ কামাল আইটি ইনিস্টিউট ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
শামীম ওসমান বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের কাজও খুব দ্রুত হয়ে যাবে। এ সড়কটি একশো বিশ ফিট চওড়া হবে। আজ আট বছর নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের পাশে বিল্ডিংটি পড়ে আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাগজ দিয়েছি। এটা হওয়ার পথে। আমি চাই এখানে হার্ট ও নিউরো ইনস্টিটিউট করব। দোয়া করবেন এটা যেন করতে পারি। আমার মায়ের নামে নাগিনা জোহা সড়কের কাজ হয়েছে। আমি ব্যবসায়ীদের দাওয়াত দিচ্ছি। নাগিনা জোহা সড়কের পাশে ইউরোপের মতো করে ওয়াকওয়ে করার জন্য চেষ্টা করছি। আমি মেয়রকে বলেছিলাম এখান দিয়ে দুটো ট্রেন ঢুকবে। আমি মেয়রকে অনুরোধ করবো কাগজটা দেন। এ ট্রেনটা যেন চাষাঢ়া পর্যন্ত থাকে। দুটো ট্রেন শহরে ঢুকলে শহর চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সেলিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন। তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে আল্লাহর ঘরে গিয়েছেন।
‘আমরা সবাই মিলে কাজ করছি দেখে অনেকের সমস্যা হচ্ছে। তারা সামনে ঝামেলা করবে। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জকে আমি পিওর পানির প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবো। প্রয়োজনে শহর ও বন্দরও এটার আওতায় আসবে,’ বলেন তিনি।
এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহার সভাপতিত্ব এসোসিয়েশনের কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ০৬:১৭ | রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain