| বুধবার, ০৮ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
ভারেতের মধ্যপ্রদেশে ট্রেনে বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের শেষ দফার ভোটগ্রহণের ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার লখনউতে বিকেল থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয় পুলিশের সন্ত্রাস-দমন শাখার (এটিএস)। রাত তিনটা নাগাদ অভিযান শেষের ঘোষণা দেয় পুলিশ। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন, পুলিশের দাবি এরা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের কিছু যুবকের উপরে প্রভাব বিস্তার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতারা।
ঘটনার শুরু মধ্যপ্রদেশে ভোপাল-উজ্জয়িনী যাত্রীবাহী ট্রেনে। মঙ্গলবার সকালে জাবরি স্টেশনের কাছে ওই ট্রেনের শেষ কামরায় বিস্ফোরণ ঘটে। পাঁচজন নারীসহ নয়জন আহত হন। নাশকতায় জড়িতদের সন্ধানে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে অভিযান শুরু হয়। মধ্যপ্রদেশের পিপারিয়া থেকে গ্রেপ্তার হয় দানিশ আখতার, সৈয়দ হুসেন ও আনিস মুজফফর নামে উত্তরপ্রদেশের তিন বাসিন্দা। এরপর কানপুর থেকে ফয়জান ও ইমরান নামের আরও দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একই সঙ্গে সাইফুল নামে আর একজনকে গ্রেপ্তার করতে লখনউয়ের ঠাকুরগঞ্জে তার বাড়িতে অভিযান শুরু করে এটিএস। সাইফুলকে জীবন্ত ধরতে মরিচের গুঁড়া কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়তে থাকেন সাইফুল। গভীর রাতে পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মধ্যে দুইজন জঙ্গি রয়েছে।
এ্ই অভিযান নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “খুবই সংযতভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।”
পরে স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে পুলিশ সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করেন। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছেন।
Posted ০৬:২৩ | বুধবার, ০৮ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain