| বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা, ৯ জানুয়ারি : বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে যারা জাতীয় সংসদে একদলীয় স্বৈরশাসন বাকশাল ব্যবস্থা অনুমোদন করেছিল, ৩৫ বছর পর আজ আবার তাদেরই যোগ্য উত্তরসুরীরা সংসদ ভবনেই স্বৈরাচারী কায়দায় রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে অগ্রাহ্য করেছে। উদ্দেশ্য উভয় ক্ষেত্রে অভিন্ন-ক্ষমতাকে কুক্ষিগত ও চিরস্থায়ী করা।বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
গণবিচ্ছিন্ন সরকার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে ১৫৩ জনকে কোন ভোট ছাড়াই মনোনীত করার প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে দাবী করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটার বিহীন নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে অবশিষ্ট ১৪৭ জন সদস্যের মধ্যে ১৩৯ জনকে নির্বাচিত দেখিয়েছে সরকারের আজ্ঞাবহ এবং এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নতজানু নির্বাচন কমিশন। তথাকথিত এই নির্বাচনী প্রহসনকে বিদেশীদের কাছে গ্রহণযোগ্য দেখানোর জন্য গায়েবী ভোটারদের একটা কাল্পনিক হিসাবও প্রকাশ করা হয়েছে-যা দেশ-বিদেশের কেউই বিশ্বাস করেনি। সরকারের পছন্দের স্থানীয় পর্যাবেক্ষকরাও এই হিসাবকে অতিরঞ্জিত তথা বানোয়াট বলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী আজ যাদের শপথ গ্রহণের কোন সুযোগ ছিলনা-তাদেরকে শপথ পড়িয়ে, স্পীকারও সংবিধান লংঘন করেছেন। শপথ নেয়া এসব সদসের দ্বারা নির্বাচিত সংসদ নেতাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানালে রাষ্ট্রপতির দ্বারাও সংবিধানের বিচ্যুতি ঘটবে বলেও স্পষ্ট বলা যায়। এর সব কিছুই ঘটেছে শ্রেফ ক্ষমতার জন্য। দ্রুত ক্ষমতা সংহত করার জন্য। ক্ষমতার মোহে রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে অবজ্ঞা করার এমন নষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই একদিন অভিযুক্ত হতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এবং ভোটবিহীন কারচুপির মাধ্যমে যারা সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিয়েছেন তারা শুধু পবিত্র সংসদ ও গণতান্ত্রকেই কলংকিত করেন নাই বরং তারা জনগণের সাথে চরম বিশ্বাসঘতকতা করেছেন। সময় আসবে এবং জনগণ এই প্রহসনের জবাব দিবে বলেও হুশিয়াঁরী উচ্চারণ করা হয় বিবৃতিতে।
মির্জা আলমগীর বলেন, সংসদের মেয়াদকালীন সময়ে পুনরায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কয়েক দিনের জন্য হলেও দেশের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় দুইজন করে নির্বাচিত সদস্য থাকার মত অঘটন যাতে না ঘটে সে জন্য একই অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে-‘তবে শর্ত থাকে যে, এই দফায় (ক) উপদফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপদফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্য রূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনে নির্বাচিত বলে কথিত কোন ব্যক্তি সংবিধানের এই বিধান অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারি-অর্থাৎ বর্তমান সংসদের মেয়াদ উর্ত্তীন না হওয়া পর্যন্ত কার্যভার নিতে পারেন না। অথচ আজ সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তারা কার্যভার গ্রহণ করেছেন। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যারা আজ সংবিধানের এমন বিচ্যুতি ঘটালেন তাদের মনে রাখা সঙ্গত যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তারাই সংবিধানের বিচ্যুতি ঘটানোর জন্য বিরাট শাস্তির বিধান করেছেন।
Posted ১১:২৭ | বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin