| রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
২৩ মার্চ: দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, ভোট বর্জন এবং কেন্দ্র দখলের মহোৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চতুর্থ দফা উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে গণনা।
নির্বাচনী সহিংসতায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শামসুদ্দীন প্রধান নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, জীবননগর উপজেলায় ভোট কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্স, পেপার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে সরকারদলীয় ক্যাডাররা। এ সময় তারা ৫ টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পরে সেই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
বিচ্ছিন্নভাবে দেশের প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রার্থীরা মোবাইলে ও ফ্যাক্সের মাধ্যমে ইসিতে অভিযোগ করলেও ইসি কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশনার আব্দুল মোবারক সহিংসতা রোধে কঠোর হুঁশিয়ারির কথা বললেও বাস্তবে তার কোন প্রভাব মাঠে পড়েনি। স্থানীয়ভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসির নির্দেশনা না মেনে প্রভাবশালীদের পক্ষে কাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়া, পুন:নির্বাচনের দাবি জানিয়ে কয়েকটি উপজেলায় ভোট বর্জনের খবর পাওয়া গছে। ফেনীর সোনাগাজীতে কেন্দ্র দখল ও প্রশাসনের সহযোগিতায় জাল ভোটের অভিযোগ আনেন ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীরা।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মেরে ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আসলেও ইসি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফেনীর ফুলগাজীতে বর্তমান চেয়ারম্যান একরামুল হকের বিরুদ্ধে অধিকাংশ কেন্দ্র দখল করে ভোট দেয়ার অভিযোগ থাকলেও তা আমলে নেয়নি ইসি।
Posted ১৭:১৮ | রবিবার, ২৩ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin