| সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “বন্দুক ছেড়ে আলোচনায় বসুন। বন্দুকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চাইলে ভালো হবে না, পরিণতি খারাপ হবে।”
ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান সুলতানুল ফেরদাউস নমরুল চৌধুরীর বিএনপিতে যোগদান উপলক্ষে এক বৈঠকে গতরাতে নয়টায় খালেদা জিয়া এ সব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “সরকার অন্যায়ভাবে, জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। সরকার যতই সাংবিধানিক বলুক, তারা অবৈধ-অসাংবিধানিক। ৫ তারিখের নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। জোর করে তারা জনগণকে কেন্দ্রে নিতে পারেনি।” তিনি বলেন, “আমরা জোর করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাই না। তবে বাধ্য করলে জনগণ রাজপথে নামবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণকে রক্ষা করেতে আমাদের সামনে দুটি পথ। একটি হলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন, অন্যটি আন্দোলন।”
খালেদা জিয়া বলেন, “দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। দেশে অনেক নতুন ভোটার হয়েছেন। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান। কিন্তু তারা ভোটারদের এ অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।”
তিনি বলেন, “এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে মানুষ বাঁচতে চায়। তাই যেকোনোভাবেই হোক এদেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। তারা বিভিন্ন সমাবেশে বকে যাচ্ছেন যে, তারা দেশের উন্নয়ন করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেননি। আমরা সরকারে থাকা অবস্থায় দেশের কাজ করেছি। আমরা ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর আর কোনো উন্নয়ন হয়নি।”
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, “এদেশে জিয়াউর রহমান কৃষকদের জন্য সেচ প্রকল্প চালু করে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা যখন আবার ক্ষমতায় আসি তখন সেচ প্রকল্প পুণরায় চালু করি। কৃষকরা এই সেচ প্রকল্পের ধারা অনেক সোনার ফসল ঘরে তুলেন। তখন কৃষকদের আনন্দের সীমা ছিলো না।”
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২০:৩৩ | সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin