বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশ্ন এবি পার্টির সরকার সাউন্ড গ্রেনেড কেনে, ফায়ার বল কিনতে পারে না?

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট

প্রশ্ন এবি পার্টির সরকার সাউন্ড গ্রেনেড কেনে, ফায়ার বল কিনতে পারে না?

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার সাউন্ড গ্রেনেড কিনতে পারে, কিন্তু অগ্নিদুর্ঘটনা রোধ করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে পারে না?

বুধবার (৬ মার্চ) দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির নেতারা।

ব্রিফিংয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে ঢাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসেবে ঘোষণা করার পরেও সরকার ও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার টনক নড়ছে না। এর মূল কারণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও সরকারদলীয় বাহিনীর চাঁদাবাজি।

দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যেকোনো রেস্টুরেন্ট চালাতে দশটি সংস্থার অনুমোদন লাগে। বছর বছর ধরে ঢাকার রেস্টুরেন্ট চলছে। এই সংস্থাগুলোর কোনো ভূমিকা নাই, একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর এক সংস্থা আরেক সংস্থার উপর দায় চাপিয়ে নিজেরা বাঁচার চেষ্টা করছে।

অগ্নিকাণ্ডে মানুষ মরছে। মরার পর আমরা শুনতে পাই মৃত। আহত ব্যক্তিদের খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি জনগণের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর এখন প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা বাদ দিয়ে নিরপরাধ সাধারণ রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সাউন্ড গ্রেনেড কিনতে পারেন অথচ ফায়ার বল কিনতে পারেন না। এই ধরনের অনিয়ম নিয়ে একটি জাতি চলতে পারে না। অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিসকে সব যন্ত্রপাতি দিয়ে সক্ষম করে গড়তে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে একটা রিভিউ কমিটির মাধ্যমে সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পর্যবেক্ষণ করে একমাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সমূহ ভেঙে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন, রেস্টুরেন্ট কর্মচারীদের গ্রেপ্তার বা হয়রানির নামে সমস্ত নাটক বন্ধ করুন। এগুলোর মাধ্যমে কী হয় আমরা সবাই জানি। রমজানের আগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে নতুন বাণিজ্য শুরু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডকে পুঁজি করে লুটপাট বাণিজ্য শুরু হয়েছে। কোনো অগ্নিকাণ্ডের জন্য রেস্টুরেন্টের সাধারণ কর্মচারীরা দায়ী নয়, দায়ী যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ খেয়ে, দুর্নীতি করে এই রেস্টুরেন্টগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন, গ্রেপ্তার করলে তাদের করতে হবে।

দলটির সহকারী সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান ঢাকার বিভিন্ন স্থাপনার প্রযুক্তিগত ত্রুটিসমুহ উপস্থাপন করে অবিলম্বে এগুলো সংশোধন করার আহ্বান জানান।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:১২ | বুধবার, ০৬ মার্চ ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com