নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয়টি হচ্ছে জাকাত। কোরআন মজিদে আল্লাহ তাআলা তার অনুগত বান্দাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আর তারা যা কিছু দান করে এভাবে দান করে যে, তাদের হৃদয় ভীতকম্পিত থাকে (একথা ভেবে) যে, তারা তাদের রবের নিকটে ফিরে যাবে।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৬০)
জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো কারো কাছে মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ, সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা এর কোনো একটির সমমূল্যের নগদ টাকা বা ব্যবসার পণ্য থাকতে হবে। এবং এই পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ এক বছর তার মালিকানায় থাকতে হবে। তবে এই সম্পদের বছর গণনা করতে হবে চন্দ্রমাস হিসেবে।
কারো জাকাতের নেসাবের টাকা যদি অন্য কারো কাছে পাওনা থাকে তাহলে এ ব্যক্তির জন্য পাওনা টাকা উসূল হওয়ার পর ওই টাকার জাকাত আদায় করা ফরজ। টাকা উসূলের আগে জাকাত আদায় করা জরুরি নয়, তবে পাওনা টাকা হাতে আসার আগে কেউ জাকাত আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে।
কারো পাওনা টাকা হাতে আসতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সব বছরের টাকা হিসাব করে জাকাত আদায় করে দিতে হবে।
হজরত মা’মার রহ. ইমাম যুহরী রহ.-কে জিজ্ঞেস করছেন, পাওনা টাকার উপর জাকাত দিতে হবে কি? তিনি উত্তর দেন,
نَعَمْ إِذَا كَانَ فِي ثِقَةٍ، وَإِذَا كَانَ يَخَافُ عَلَيْهِ التَّوَى فَلَا يُزَكِّيهِ، فَإِذَا قَبَضَهُ زَكَّاهُ لِمَا غَابَ عَنْهُ
হ্যাঁ, পাওনা যদি বিশ্বস্ত মহলে হয় তাহলে যাকাত দিবে। আর পাওনা যদি উধাও হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে জ্কাত দিবে না। তবে যদি এই পাওনা হাতে আসে তাহলে বিগত সময়েরও জাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭১৩১) সূএ: ঢাকা পোস্ট ডটকম
Posted ০৮:৪৬ | শনিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain