| সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নয়জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ২৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, র্যাব সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী নুরুজ্জামান, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার। এরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পলাতকদের মধ্যে যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা হলেন, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন।
এছাড়া পলাতক নয় আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। তারা হলেন- নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, র্যাবের আট সদস্য লতিফুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, এএসআই কামাল হোসেন ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।
এর আগে রায় ঘোষণার ধার্য দিনে সকাল নয়টার পর আদালতে আনা হয় ২৩ আসামিকে। এদের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে এবং নূর হোসেন-তারেক সাঈদসহ পাঁচজনকে পুলিশ পাহারায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে। সকাল ১০টায় এজলাসে উঠে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক এনায়েত হোসেন। ১০টা ছয় মিনিটেই তিনি রায় ঘোষণা করেন। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত সব আসামিকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
Posted ০৬:৫৩ | সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain