| মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা, ১১ মার্চ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ১/১১’র সময় তারেক রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিলো। তিনি বলেন, সে সময় অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু তারেক রহমানের মতো কারো উপর নির্যাতন চালালো হয়নি। এতে স্পষ্টই বুঝা যায় তারেক রহমানকে সু-পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল ১/১১’র কুশীলবরা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত ‘তারেক রহমানের ৮ম কারবন্দী দিবস উপলক্ষে’ আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মোশাররফ বলেন, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা, দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে চায়, যারা বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র দেখতে চায়না, গণতন্ত্রকে পঙ্গু করে দিতে চায় তারাই ১/১১ সময় তারেক রহমানকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বিএনপিকে দ্বিধা বিভক্ত করে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কারণ বিএনপির উন্নয়ন মুখী রাজনীতির কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিলো।
তারেক রহমানকে গতিশীল রাজনীতির প্রতিক দাবি করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার সফল নেতৃত্বে সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। আর তারেক রহমান রাজনীতিতে প্রবেশ করেই তৃণমূল থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছিলেন যার ফলাফল আমরা দেখেছি সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে। গ্রাম-গঞ্জের নেতাকর্মীরা তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। দক্ষতারও গতিশীল রাজনীতির কারণেই তিনি অনেকের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন তারেক রহমান।
সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অধিকার নেই উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার কুইক কমিশনের মাধ্যমে দলীয় নেতাদের পকেট ভারি করতে ‘কুইক রেন্টাল’ পদ্ধতি আবিষ্কার করে লুটপাটের মহোৎসব চালিয়েছে। আর এখন সেই কুইক রেন্টালের ভর্তুকির কারণেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এর প্রভাব পড়বে গরীব মানুষের উপর, ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই সরকারের বিদ্যুত বিল বাড়ানোর কোন অধিকার নেই। কারণ তাদেরকে জনগন নির্বাচিত করেনি। সমর্থন দেয়নি। আর অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের দ্বারা দেশের মানুষের কোন উন্নয়ন হবেনা, কল্যান হবেনা।
উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগ সহিংসতা বৃদ্ধি করছে দাবি করে তিনি বলেন, দিন যত গড়াচ্ছে উপজেলাগুলোতে আলীগ তাদের পরাজয় বুঝতে পেরে সহিংসতার মাত্রাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা নির্বাচনের আগেই ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল ও বিরোধী নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করছে। তার পরও তাদের হার ঠেকাতে না পেরে এখন আবার স্থানীয় সরকারের মূল চেতনা ধ্বংস করে দলীয়ভাবে নির্বাচনের ফর্মূলা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তারা জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে কেন্দ্র দখল ও জবরদস্তি করে ক্ষমতায় এসেছে, উপজেলা নির্বাচনেও তাই করতে চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারেক রহমান এখনো মুক্ত নন। শুধু তারেক রহমানই নয়, এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষ এবং গণতন্ত্রও স্বৈরশাসনের কাটাতারে বন্দি। শুধু মঞ্চে বক্তৃতা আর শ্লোগান দিয়ে তারেক রহমান ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করা যাবে না। এর জন্য মাঠে নেমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তবেই তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ মুক্তি পাবে।
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল বারী ডেনী প্রমুখ।
Posted ১২:৪৩ | মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin