| বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহামা রাজ্যে নারীকে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে হলে অবশ্যই তার পুরুষ সঙ্গীর অনুমতি লাগবে। নারী চাইলে একক সিদ্ধান্তে গর্ভপাত করাতে পারবে না। এ সংক্রান্ত একটি বিল রাজ্যের একধাপ এগিয়েছে।
এ বিলটিতে বলা হয়েছে, কোন চিকিৎসক গর্ভপাত করার আগে সংশ্লিষ্ট নারীর কাছ থেকে তার সঙ্গীর দেয়া লিখিত অনুমতি জেনে নেবে। তবে ওকালাহামা রাজ্যে যে বিলটি পাশ হতে যাচ্ছে সেখানে ধর্ষিতা এবং যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। এ বিলটি সামনে এনেছেন ওকলাহোমার আইন-প্রণেতা জাস্টিন হামফ্রে।
যেসব নারী গর্ভপাত করাতে চায় তাদের উদ্দেশে হামফ্রে বলেন, আপনি যখন কোন সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছেন তখন আপনি জানেন যে এটা হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিন যাতে আপনি গর্ভবতী না হোন।
যদিও অনেকেই এ ধরনের বিলের সমালোচনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭৩ সালে গর্ভপাত বৈধ করা হয়েছে। কিন্তু এর পক্ষে-বিপক্ষে দেশটিতে তীব্র মতপার্থক্য আছে।
ওকলাহোমার আইন-প্রণেতারা এমন এক সময়ে এ ধরনের বিল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে গর্ভপাত বিরোধী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।
নতুন মর্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণা বলেছিলেন যেসব নারী গর্ভপাত করাবে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া একজন গর্ভপাত বিরোধী বিচারক নিয়োগের কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প।
ওকলাহোমা রাজ্যে গর্ভপাত বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কড়া বিধি-নিষেধ আছে। ধারনা করা হচ্ছে, নতুন উত্থাপিত এ বিলটি এ বছরের শেষের দিকে ভোটে দেয়া হবে।
Posted ০৫:৫০ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain