| মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
বেগম খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমঝোতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) আহ্বায়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টি ভাল করেই জানেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় ৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ও নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপনে’ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি গোপন আঁতাত করেছে অভিযোগ করে নিলু বলেন, খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়েই বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে এটা আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস। বিএনপি, আওয়ামী লীগ একটি আপোষের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। খালেদা জিয়াকে বাদ দেয়ার ষড়যন্ত্র দলের মধ্য থেকেই করা হয়েছে।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেন শেখ শওকত হোসেন নিলু।
এসময় নির্বাচনকালীন সরকারের পাঁচটি রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি। রূপরেখার মধ্যে রয়েছে-
ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) মনে করে চলমান দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন।
যে দল থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমপক্ষে ৭৫ জন সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সেই দল থেকে একজনকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ দিতে হবে। ১৫১ জন সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সেই দল থেকে দুইজনকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য মনোনয়ন দিতে হবে।
অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে যে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের কাছে এই দুটি মন্ত্রণালয় থাকতে পারবে না।
কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতা নিজে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতিক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করলে এবং তার দলের কমপক্ষে ৭৫ জন প্রার্থী তাদের নিজেদের দলীয় প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সেই নেতা নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকতে পারবে না।
এনডিএফ আশা করে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান এবং তাদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করবেন। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিই এনডিএফ’র পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে নির্বাচনকালীন সময়ে সেনা বাহিনীর উপস্থিতি জনগণের মধ্যে অধিক আস্থা ও নিরপেক্ষতাবোধের সৃষ্টি করে বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার একাংশের সভাপতি মহিউদ্দিন বাবলু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, ন্যাপ ভাসানীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ শহিদুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবুল সরদার চাখারি প্রমুখ।
Posted ০৮:০২ | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain