| শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
শফিউল আলম, রাউজান : কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব শাহছুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেছেন, সৃষ্টির প্রতি সষ্ট্রার অপার নেয়ামতের শোকর আদায় এবং সষ্ট্রার সকল বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে বান্দা সষ্ট্রার নৈকট্য অর্জন করতে পারে। আবার এসবের বিরুদ্ধাচারণ বা অবমাননার ফলে ভূপৃষ্টে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্যোগ ও দুর্গতি। ইতিহাস থেকে এর শিক্ষা নিয়ে মুসলমানদেরকে রূহানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে নিজেদেরকে ঈমান ও আক্বিদাকে আরও মজবুত করতে হবে। আর এ রূহানিয়াত অর্জনের অনন্য ক্ষেত্র হচ্ছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ।
এ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসুল কাগতিয়ার গাউছুল আজম এমন এক যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ও সফল আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, যার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও দর্শন অগণিত পথভোলা মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছে। তিনি ৭মার্চ শুক্রবার রাউজান নতুনহাট বাজার চত্বরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ফাতেহায়ে এয়াজদাহুম উদ্যাপন উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১০৩নং নোয়াজিষপুর ও দলইনগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে হাজার হাজার সুন্নি জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মুসলমানেরা ইসলামের মৌলিক আদর্শকে ভুলতে বসেছে। যার ফলে যুবসমাজের মাঝে ইসলামের চেতনাবিরোধী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ নাজুক অবস্থার উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যুবসমাজকে কোরআন-সুন্নাহর পথে ফিরে আনতে হবে। আর এজন্য অনেক আগেই আশির দশকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সংস্কারক খলিফায়ে রাসুল কাগতিয়ার গাউছুল আজম বিপথগামী যুবসমাজকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর আধ্যাত্মিক প্রচেষ্ঠায় সে সময় দেশ-বিদেশের অগণিত যুবক ফিরে এসেছে আলোর পথে। পরবর্তীতে এ কিংবদন্তিতূল্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব গঠন করেন অরাজনৈতিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে সংগঠন যুব সমাজের মননে ও চিন্তা-চেতনায় আধ্যাত্মিকতার বিকাশ ঘটিয়ে তাদের পারলৌকিক কল্যাণ সুনিশ্চিত করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মুনিরীয়া তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ওলামা পরিষদের সচিব আল্লামা মুফতি ইব্রাহিম হানফী এর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সরোয়ার্দী সিকদার, চেয়ারম্যান কাজী দিদারুল আলম।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাগতিয়া কামিল এম. এ. মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম আহমদী, মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান, মাওলানা শাহজাহান নোমান প্রমুখ এবং প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া। এতে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শফিউল আলম, সাংবাদিক এম. বেলাল উদ্দিন, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, এস. এম. ফখরুল ইসলাম, কে এম জাহিদুল ইসলাম জাহেদ। মাহফিলে বক্তারা আগামী ১৫ই মার্চ রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে ঐতিহাসিক এশায়াত সম্মেলনে সকলকে যোগানের জন্য আহবান জানান।
এছাড়া দেশ বিদেশের অসংখ্য ভক্ত অনুরক্ত সম্মেলনে যোগদানের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
Posted ১৭:১৬ | শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin