শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ

  |   মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ

করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থবিভাগ।

জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে গত ৮ মার্চ আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। পরদিন ৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে নতুন করে আর কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।

করোনার সবশেষ পরিস্থিতি জানাতে মঙ্গলবার সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দেশে নতুন করে করোনোভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি। তবে বিদেশফেরত ৮ জনকে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নভাবে) রাখা হয়েছে।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, করোনোভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। সবাইকে সচেতন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, তারা ১৪ দিন যাতে ঘর থেকে বের না হয়। আর আক্রান্ত তিনজন ভালো আছেন।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আরও ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। সবমিলিয়ে আমরা ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। এখন পর্যন্ত ৩ জনের শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সিরিয়াসলি কাজ করছি। শঙ্কিত হওয়ায় কিছু নেই। আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশি নাগরিকরা কীভাবে আছে, সেটা দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, কুয়েতে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে। বিদেশ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এলে একটি ঘরে থাকুন। সেলফ কোয়ারেন্টেইন সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। ইচ্ছেমতো বের হয়ে ১৭ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলবেন না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মাস্ক ব্যবহার করে বের হবেন।

তিনি বলেন, ১২টি হট লাইন নম্বর দেওয়া আছে। সবাই এখানে ফোন করে তথ্য নিতে পারেন। সচেতনতা ছাড়া প্রতিরোধের কিছু নেই। সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ও হাঁচি দিতে হবে।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিশ্বের মোট ১০৫টি দেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত দেশ বাংলাদেশ, আলবেনিয়া ও প্যারাগুয়ে।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হটলাইন চালুর পর আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২৭৭৮টি কল এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত। আবার এমনও কল এসেছে যে মাস্ক কোথায় পাওয়া যাবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, বিদেশ থেকে এসেছে, কী করণীয় ইত্যাদি জানতে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:০৮ | মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com