| বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানের পরিকল্পনায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সকালে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, এমপি লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা ছিলেন কাদের খান। তার নির্দেশেই চারজন হত্যায় অংশ নেয়। দীর্ঘ ১২০ দিন তদন্তের পর হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডিআইজি বলেন, হত্যায় জড়িতদের মধ্যে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন-শাহীন, মেহেদি, হান্নান। এছাড়া রানা নামে একজন এখনো পলাতক আছে।
গোলাম ফারুক জানান, এমপি লিটনকে হত্যার জন্য চারজনের একটি দলকে ছয় মাস ধরে একটি গুদামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। খুনের এই ঘটনায় জড়িতরা ছিল নিম্নআয়ের মানুষ। কাদের খানের পরিকল্পনা মোতাবেক তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল।
জিআইজি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হত্যায় জড়িত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছিল। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কাদের খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় কাদের খানের কাছ থেকে যে পিস্তুল উদ্ধার করা হয়েছে ওই অস্ত্র দিয়েই লিটনকে গুলি করা হয়েছিল।
টানা ছয় দিন কার্যত গৃহবন্দী করে রাখার পর গতকাল মঙ্গলবার বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কাদের খানকে। এরপর তাকে নেয়া হয় গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে।
কাদের খান ২০০৮ সালে গাইবান্ধা-১ আসনে জাতীয় পার্টির টিকিটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে ক্ষুব্ধ হন কাদের। এতে আগামী নির্বাচনে পথ পরিষ্কার করতে তিনি লিটনকে খুন করার পরিকল্পনা নেন বলে একটি সূত্র জানায়।
Posted ০৬:৫১ | বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain