রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

এবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর অভিনব কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়

  |   সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট

mohsen ali

নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিনা পাসপোর্টেই চারজন ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে আসতে চাইলে বাধার সম্মুখীন হলেন বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। মন্ত্রীর প্রভাবে সে দেশের কাস্টমস বিভাগ এই চার ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ডাল গলেনি ভারতে। কাস্টমস বিভাগের কড়া মনোভাবে মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা চার ব্যক্তিকে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশে। এ ঘটনাটি ঘটে রোববার করিমগঞ্জের টাউন কালীবাড়ি রোডের ইমিগ্রেশন সেন্টারে। আজ এই খবর দিয়েছে আসামের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আমন্ত্রণে এক সেমিনারে অংশ নিতে এদিন করিমগঞ্জে আসেন বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। সঙ্গে ছিলেন জকিগঞ্জের সাংসদ ইমরান আহমদ সহ আরো ছয়জন। যার মধ্যে মন্ত্রী, সাংসদ সহ দু’জন ব্যক্তিগত সচিব ছাড়া আর কারোরই ভারতে প্রবেশ করার বৈধ অনুমতি ছিল না। তবুও মন্ত্রী বাড়তি চারজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। এমনকি নিজের প্রভাব খাটিয়ে জকিগঞ্জ বর্ডার দিয়ে কুশিয়ারা নদী পার হয়ে করিমগঞ্জে পাড়ি জমান। তবে বাধার সম্মুখীন হন ইমিগ্রেশন সেন্টারে। প্রয়েঅজনীয় নথিপত্র ঘাটতে গিয়ে দেখা যায় মন্ত্রী, সাংসদের সঙ্গে থাকা বাকি সদস্যের মধ্যে চারজনের সঙ্গে পাসপোর্টই নেই। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে করিমগঞ্জের ইমিগ্রেশন বিভাগ।

যুগশঙ্খ জানায়, করিমগঞ্জের ইমিগ্রেশন কার্যালয় থেকে প্রশ্ন তোলা হয় বিনা পাসপোর্টে ওই চার ব্যক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে কীভাবে করিমগঞ্জে এলেন? তাদের বিনা পাসপোর্টে এ দেশে থাকতে দেয়া যাবে না। তখন বাংলাদেশের মন্ত্রী যুক্তি দেখান, আগে একবার তিনি ত্রিপুরা গিয়েছিলেন। তখন তিনি বিনা পাসপোর্টে একুশ জন সদস্য নিয়ে সে রাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন, এবার মাত্র চারজন। তাই তিনি আগের অভিজ্ঞতায় বিনা পাসপোর্টে এই অতিরিক্ত চারজনকে নিয়ে এসেছেন।

তবে মন্ত্রীর এমন যুক্তিতে ডাল গলেনি। কড়া মনোভাব গ্রহণ করে ইমিগ্রেশন বিভাগ। পরে বাধ্য হয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে আসা ওই চারজনকে ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশে। করিমগঞ্জ সরকারি আবর্ত ভবনে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিষয়টি স্বীকার করেন মন্ত্রী মহসিন আলী। বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগ এতো কড়া মনোভাব দেখিয়েছে যে, তার সঙ্গে থাকা লাল পাসপোর্ট দেখেও কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়নি।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনসহ অন্য সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকরা তার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ সব আগে ঘটেছিল, তবে শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপারটি নিয়ে কড়া মনোভাব নিচ্ছেন। ফলে আগের তুলনায় হিন্দু নির্যাতনসহ দেব-দেবীদের মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা অনেকাংশে কমে গেছে। এ ছাড়া এখন যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তবে এই সমস্যাগুলো অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার কার্যকালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো মধুর হবে বলে মত দেন সে দেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলি। সোমবার শিলচর আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সপার্ষদ মন্ত্রী করিমগঞ্জ ছাড়বেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৪৭ | সোমবার, ১০ মার্চ ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com