| সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তিতে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা বস্তি পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা এবং ঘর তৈরির জন্য টিন দেওয়া হবে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও অন্যান্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়। আগুন লাগার পরে আমাদের করনীয় কী? এখানে দাঁড়িয়ে থাকলে তা সম্ভব নয়। কীভাবে আমাদের এখন ধাপে ধাপে কাজগুলো করতে হবে সেটিই আমাদের দায়িত্ব। উত্তরা একটি খালের কাজ চলছিল এবং অনেক জটলা ছিলো এ কারণে এখানে আসতে দেরি হয়েছে। তবে সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি পুড়ে যাওয়া বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত তাদের ঘরের জন্য টিন দিতে হবে এবং এই মুহূর্তে খাদ্য লাগবে। ইতোমধ্যে কাউন্সিলর খাবার রান্নার কাজ শুরু করেছেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুপুর থেকে খাবার চালু হবে এবং রাতেও বস্তিবাসীকে খাওয়ানো হবে। যতোক্ষণ ত্রাণ না এসে পৌঁছাবে ততোক্ষণ খাবার বিতরণ করা হবে। এছাড়াও শুকনা খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হবে। একটি মানুষও অভুক্ত থাকবে না।
তিনি বলেন, কড়াইল বস্তিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বাসিন্দাদের বসবাসের উপযোগী করা হবে। ক্রমান্বয় রাজধানীর সব বস্তিতে এইভাবে ভবন নির্মাণ করা হবে। এটা ছাড়া আগুনসহ অন্যান্য দুর্যোগ থেকে বস্তিবাসীকে স্থায়ীভাবে বাঁচানো যাবে না। বস্তির বাসিন্দারা এখনো ভাড়া দিয়ে থাকে। তারা যদি একই টাকায় একটি বহুতল ফ্ল্যাটে থাকতে পারে, তাহলে তাদের জীবনমানও উন্নত হবে। বস্তিবাসী আমাদের এই শহরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনিও নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী বুধবার আমি আইসিটি মন্ত্রণালয়সহ তিনটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসব। ভবনগুলো কেমন হবে, পরিবেশ কেমন হবে, এসব নিয়ে কথা বলব। আশা করছি শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
মিরপুরের রূপনগরের বস্তিবাসীর জন্য বাউনিয়াবাদ প্রজেক্ট স্থানান্তরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, রূপনগরর বস্তিতে ৭৮০টি পরিবার রয়েছে। তাদেরও নেয়া হবে। গাবতলিতে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
Posted ১৪:৫৩ | সোমবার, ০৭ জুন ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain