| বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেল ৩টায় বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭’ উদ্বোধন করবেন। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে লেখক-প্রকাশক-পাঠকের মাসব্যাপী মিলনমেলা।
মেলার মূল মঞ্চে একইসঙ্গে ‘সম্প্রীতির জন্য সাহিত্য’ শীর্ষক চারদিনের আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সম্মানিত বিদেশি অতিথি থাকবেন চীনের প্রখ্যাত গবেষক ও রবীন্দ্র-অনুবাদক ডং ইউ চেন, অস্ট্রিয়ার মেনফ্রেড কোবো, পুয়ের্তোরিকোর লুস মারিয়া লোপেজ, ভারতের চিন্ময় গুহ প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম আকতারী মমতাজ। স্বাগত ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬ প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত মীর মশাররফ হোসেনের অমর সৃষ্টি ‘বিষাদ সিন্ধু’র অনুবাদ ‘ওসিন অব সরো’ এবং জার্মানি থেকে প্রকাশিত ‘হান্ড্রেড পোয়েমস অব বাংলাদেশ’ তুলে দেয়া হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আরো থাকবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতা এবং সংগীত প্রতিযোগিতা। প্রতিদিন বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম। শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১১টায় খোলা হবে মেলার দ্বার। আর ২১ ফেব্রুয়ারিতে সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা। ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা।
গতকাল বিকেলে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।
কাগজে-কলমে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ হলেও একুশে বইমেলা বা বইমেলা হিসেবেই এটি পরিচিত সারা দেশের মানুষের কাছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির জীবনে নিয়ে এসেছিল ভাষার অহংকার। এ মাসের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল বাঙালি জাতি। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে বইমেলার এই আয়োজন সেই প্রাপ্তিরই পূর্ণতার স্বাদ দেয় বাঙালি জাতিকে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এই বইমেলার যাত্রা শুরু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছর থেকেই।
মেলা চত্বরে নিরাপত্তা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশন, বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে একাধিক বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছি। খুঁটিনাটি আলোচনা করে সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
একাডেমির বিক্রয় বিপণন ও পুনর্মুদ্রণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. জালাল আহমেদের সঙ্গে। তিনি জানান, বাংলা একাডেমি এবার ১০১টি নতুন বই প্রকাশ করবে। গতবার ২৫% ছাড় দেওয়া হলেও এবার ৩০% ছাড়ে বিক্রি করা হবে।
তিনি আরো জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৮০ হাজার বর্গমিটার জুড়ে কয়েকটি প্যাভিলিয়নে ভাগ করে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী ও একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকছে মেডিকেল ক্যাম্প, নামাজের ব্যবস্থা, শৌচাগার ও ব্রেস্ট ফিডিং ক্যাম্প।
Posted ০৬:৪৩ | বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain