| মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার রোধ, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পুলিশের সব প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলছেন, নির্বাচন এলে অবৈধ অন্ত্রের ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ে। তাছাড়া জঙ্গিরাও মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারে। তবে এসব রোধে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন কেন্দ্রীক স্থিতিশীলতা রক্ষায় পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াবার পাশাপাশি কাজে লাগাতে হবে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দেশ জুড়ে ঘটে একের পর এক সহিংস ঘটনা। পেট্রোলে পুড়ে মারা যায় ৭৭ জন মানুষ, দগ্ধ হন ৩৫০ জন। এছাড়া হরতাল অবরোধের সহিংসতায় আহত হন দের হাজার মানুষ। এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ৫ বছর পর আরো একটি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাড়তি সতর্কতা পুলিশের।
নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বাড়তে পারে, মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারে জঙ্গি সংগঠনগুলো। প্রগতিশীল এবং সামাজিমভাবে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করতে পারে তারা। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ছড়ানো হতে পারে উস্কানি এমন আশঙ্কা পুলিশের। আর তাই এসব রোধে পুলিশের সব ইউনিট প্রধানকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সদর দফতর থেকে।
জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ ধরে রাখার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে নিবার্চন রেখে কোনো কোনো গোষ্ঠী ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করতেই পারে। তবে এসব রোধে আগে থেকেই তা নস্যাৎ করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অব. মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, তারা যেভাবে গুজব ছড়ায় এবং মিথ্যাচার তৈরি করে এটার জন্য তাদের একটা প্রস্তুতি লাগে। তার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। তাহলে আগাম সংবাদ পাওয়া যাবে এবং আগে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি দায়িত্ব নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেও।
সূত্র : সময় টিভি
Posted ২১:১৭ | মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain