
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
অবরোধের শেষ দিন বগুড়ায় ট্রাকে আগুন, হাতবোমা বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানায় নতুন আরো দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানা পুলিশের এসআই জাকির আল আহসান ও জাহিদ নিয়ন বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেছেন।
পুলিশের দায়ের করা এই দুই মামলায় ৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ জন গ্রেফতার করা হয়েছেন। তাদের মধ্যে সদর থানা পুলিশ ৪৪ জন ও র্যাব-১২ সদস্যরা সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বারপুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর সেখানে দুইটি সিএনজি ভাংচুর করে পাঁচটি হাতবোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশের এসআই জাকির আল আহসান বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও বগুড়া সদরের তিনমাথায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দশটি ট্রাক ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। এই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটনো হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই জাহিদ নিয়ন বাদী হয়ে ৪১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ২০ জন ২৮ অক্টোবরের পর নতুন মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও সন্দেহভাজন একজন রয়েছেন। গ্রেফতার বাকি ২৪ জন আগের বিভিন্ন সময়ের নাশকতা,বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিষ্ফোরণ মামলার আসামি। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সাথে যারা সরাসরি জড়িত ও বিভিন্ন মামলার আসামি কেবল তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে র্যাব-১২ বগুড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। গত ৩০ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় দায়ের হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতালে থেকে নাশকতার ঘটনায় গ্রেফতার রবিউল ইসলাম (৪৫) ও আবু তাহেদ (৪৪) সরাসরি জড়িত। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন জানান, নাশকতার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Posted ১৬:৪৪ | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain