নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৯ জুন ২০২৪ | প্রিন্ট
একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজন বাইসাইকেল আরোহীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। মোতায়েন করা হয় সোয়াট টিম। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে ঘাতক কনস্টেবলকে হেফাজতে নেয় গুলশান থানা-পুলিশ।
শনিবার (৮ জুন) দিবাগত ২টায় মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
ঘাতক কাউসার সম্পর্কে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫-৬ দিন ধরে সে কারো সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতেন না। বলতে গেলে সে চুপচাপ ছিলেন। ঘটনা ঘটিয়েও ভারসাম্যহীন আচরণ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করার পর কাউসার আলী ঘটনাস্থলে আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। কিছু সময় তিনি দূতাবাসের সামনে বসেছিলেন। তার ঘুরাফেরা ও আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
রাতেই ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আমরা আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি সে পাঁচ, ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তার অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তার ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে এসে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।
আজ (রোববার) বেলা ১১টার দিকে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতেই ঘাতক কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, কিন্তু নিরুত্তাপ কনস্টেবল কাউসার।
ডিসি রিফাত বলেন, তিনি দীর্ঘদিন পুলিশে কর্মরত। পাগলের বেশ ধরেছেন তিনি। ঘটনা স্পর্শকাতর। ঘটনা গুরুতর। এই অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে জানে কনস্টেবল কাউসার। সংগত কারণে সে পাগলের বেশ ধরতে পারে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন, অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর সে দিচ্ছেন না।
প্রাথমিক তদন্তে কী মনে হয়েছে, ঘাতক কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা ভারসাম্যহীন? প্রশ্নের উত্তরে ডিসি রিফাত বলেন, পাগল প্রমাণ করতে পারলে সে মামলায় সুবিধা পেতে পারে। সেটা জেনে-বুঝেই হয়তো পাগলের বেশ ধরেছে। আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। তারপর বলা সম্ভব, ঘটনার আসল মোটিভ।
মামলার প্রস্তুতি চলছে, বাদী হবেন নিহতের বড় ভাই
মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা করবেন নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বড় ভাই। তিনি ঘটনা শুনে রাতেই গুলশান আসেন। তিনিও পুলিশে চাকরি করেন। তিনি মামলার বাদী হবেন। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর আটক কনস্টেবল কাউসারকে আদালতে পাঠানো হবে।
Posted ০৭:২২ | রবিবার, ০৯ জুন ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain