ডেস্ক রিপোর্ট : ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, যারা ফ্যাসিবাদকে আবার পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। কারণ যে নেত্রী তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে হেলিকপ্টারে করে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে পারে, সেই নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এখন যারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন তারা বোকা। আপনাদের নির্মম পরিণতির জন্য দায়ী যে নেত্রী, সেই নেত্রীর জন্য আবার আপনারা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে ‘স্মার্ট টুডে আইকন টুমোরো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছে এখানে সকলের অবদান রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় অনেকের মাঝে আমি বিপ্লবের প্রতিচ্ছবি দেখি না। তারা ঠিক আগের মতোই ফ্যাসিবাদ কায়েম বা পুনর্বাসন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চব্বিশে তরুণদের বিপ্লবের মাধ্যমে যে চেতনা আমরা ধারণ করেছি এই চেতনাকে সহজে কেউ ম্লান করে দিতে পারবে না। আমরা এমন একটি প্রজন্ম যারা অন্যায়কে মেনে নিতে পারি না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে দেশপ্রেমের মিথ্যা বয়ান তুলে এবং একাত্তরের চেতনার কথা বলে গণহত্যা চালানো হয়েছে। আলেম-ওলামাদের হত্যা করা হয়েছে। দেশের সেরা চৌকশ মানুষগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে আইন আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রচুর নির্যাতন করা হয়েছে। দেশপ্রেমের কথা বলে যে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে তা দিয়ে দেশের চারটি বাজেট করা যেত।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি তাদের এ বিষয়ে সংশোধন ও সতর্ক হতে বলবো। পাশাপাশি যারা নতুন করে আবার ফ্যাসিবাদকে কায়েম করতে চাইবে মনে রাখবেন এই প্রজন্ম সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো। এরা যে কোনো সময় যে কোনো প্রেক্ষাপটে আবারো জ্বলে উঠতে পারে। কারণ তারা কখনোই ফ্যাসিবাদ, অন্যায় ও জুলুমকে মেনে নেবে না। আপনারা একই কাজ করলে আপনাদের পরিণতিও অতীতের ফ্যাসিবাদ, ফেরাউনসহ জুলুমবাজের চেয়ে ভয়ংকর হবে। সবাইকে ন্যায়ের পক্ষে থাকার  আহ্বান জানান তিনি।

ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, আমি এখানে এসে জানলাম এখানে মাদকাসক্তিতে রয়েছে তরুণ সমাজ। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে যারা জড়িত রয়েছেন, তারা শতভাগ মাদকমুক্ত বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন, নায়েবে আমির মফিজ উদ্দিন, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি তোফায়েল প্রধান, জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমু, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুলফিকার রহমানসহ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।