
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | প্রিন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট : নারীর অধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাবনা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে এই ইস্যুটি সামনে আনা সরকারের এজেন্ডার অংশ হওয়ার কথা নয়। আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা উপেক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে, যেগুলোর কোনো কুলকিনারা নেই। এমন সময় এ ধরনের প্রস্তাব কেন সামনে আনা হলো, তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে।”
তিনি দাবি করেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪ বছরে মানুষ যেসব প্রত্যাশা করেছিল, বাস্তবে তার বিপরীত চিত্রই সামনে এসেছে। দেশের সমাজ ব্যবস্থাকে নানাভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এখন যখন দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ নতুনভাবে জেগে উঠেছে, তখনই তাদের বিপরীতে আরেকটি শক্তিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের প্রস্তাবনা আনা হয়েছে। অতীতেও এদেশের মুসলমানরা সব ধরনের চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করেছে। ইনশাআল্লাহ এবারও এই চক্রান্ত টিকবে না। এও ভেসে যাবে।”
নারী-পুরুষের সমান অধিকারের দাবিকে স্ববিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “যদি অধিকার সমান হয়, তাহলে কোটার প্রয়োজন কেন? কোটা তো শুধু পিছিয়ে পড়াদের জন্য। নারীরা এদেশে পিছিয়ে নেই। তারা আমাদের মা, বোন, কন্যা— আমাদের ইজ্জত ও সম্মানের প্রতীক।”
প্রস্তাবিত কমিশনের আলোচনায় থাকা ‘মেরিটাল রেপ’ প্রসঙ্গেও তিনি আপত্তি জানান। তার মতে, বিবাহিত দম্পতির মধ্যে এমন শব্দচয়ন সমাজে বিভাজন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, “এরা পরিবারে পরিবারে দাঙ্গা লাগাতে চায়, সমাজকে ধ্বংস করতে চায়।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “এই এ টু জেড কমিশনকে আমরা মানি না। কমিশন যদি না মানি, তাহলে তাদের কোনো রিপোর্টও আমরা মানি না।”
Posted ১৬:২৩ | বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain