| বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় জামাতার জড়িত থাকার স্বীকারোক্তির বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‘সরি, সরি সরি।’
মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে বুধবার সচিবালয়ে সমন্বয় সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।
তারেক সাঈদ তো খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নেতিবাচক সূচক মাথা নাড়তে নাড়তে এগিয়ে যান।
সাংবাদিকরাও তার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে গেলে তিনি ‘সরি সরি সরি’ বলে ৪ নম্বর ভবনের দোতলার পূর্বদিকের সিড়ি দিয়ে নেমে গাড়িতে ওঠেন। র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন৷
পুলিশ একে একে ছয় দফায় ৩২ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি সাত খুনের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেন৷ তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়েজামাই।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
এ অপহরণ ও হত্যার জন্য র্যাবকে দায়ী করে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ৪ মে সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেন অর্থ দিয়ে র্যাবের মাধ্যমে তার জামাতাকে হত্যা করিয়েছে।
এরপর তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে র্যাব থেকে সরিয়ে নিজ বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ অবস্থায় মন্ত্রিসভা থেকে মায়ার পদত্যাগেরও গুঞ্জন ওঠে।
আদালত চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। পরে তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অপর দু’জন আগেই জড়িত থাকার বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছে। গত ৯ মে এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিজের পরিবারের কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন মায়া।
Posted ১১:৩৪ | বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin