| সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে কোটা সংস্কারের ঘটনাগুলো নিয়ে ৪টি মামলা হয়েছে আর এই মামলার আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থী এবং আর একবার বলা হয়েছে অজ্ঞাতনামার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। তবে আমি মনে করি, এটা একটা ভয়ানক ফাঁদ পাতা হয়েছে। অজ্ঞাতনামার এই বিপুল সংখ্যক আসামি মানে যে কোনো লোককে ধরে আসামি সাজিয়ে দেওয়া হয় এবং এই নিয়ে বিপুল ব্যবসা-বাণিজ্যও চলে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি। এটার জন্য পরিসংখ্যানের দরকার নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যাবে। আমি যখন ম্যাজিস্টেট ছিলাম, তখন একজন পশু ডাক্তারও আমার সাথে ম্যাজিস্টেট হয়েছিল। তাই বলছি এটা কিন্তু কেনো দেশের এডুকেশন সিস্টেম হতে পারে না। এই সরকারের আমলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যখন দুইটি বিষয় যোগ করে তখন কিন্তু সব মানুষ চিন্তিত হয়ে পরে এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে।
কোনো বিবেকবান মানুষের আপত্তির কথা না। আর যখন নতুন নিয়ম করে যে মুক্তিযোদ্ধর সন্তানদের পাশাপাশি গণহারে তাদের নাতি-নাতনিরাও কোটা সুবিধা পাবে, তখনই কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রথম এর অযোক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, আমার মধ্যেও উঠে। একজন নাতি বা পুতির কি যোগ্যতা আছে, কেন সে তার নানা বা দাদার কৃতিত্ব পাবে।
তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের পক্ষে থাকুক আর বিপক্ষে থাকুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্তানরা হচ্ছে বাংলাদেশের সন্তান। আর এই মামলার আসামি ধরতে হলে তাদের নাম সুস্পষ্টভাবে ধরতে হবে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি
Posted ১৪:৫০ | সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain