বছরের প্রথম সংসদে দেয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বক্তব্য অসত্য দাবি করে তা এক্সপাঞ্জের (সংসদের কার্যপ্রণালি থেকে প্রত্যাহার) দাবি জানিয়ে বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেছেন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এটা ঠিক না। কথাটি সত্য নয়, এটা সত্য নয়। নির্বাচন কমিশন নাকি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে, এটা একেবারেই অসত্য।’

বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রাজাকারের তালিকা প্রসঙ্গে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘৫০ বছর পর এই তালিকার কী প্রয়োজন ছিল? মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই এখন পর্যন্ত করতে পারেননি। রাজাকারের তালিকা ৫০ বছর পর করতে যেয়ে এখন বলছেন পাকিস্তান করেছে, আবার বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন। এটা ঠিক না। এটা সরকারের কত বড় ব্যর্থতা।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। বর্তমান সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত সময় ঘনিয়ে আসছে সরকারের সন্ত্রাসী তৎপরতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ গত পরশুদিন তাবিথের ওপর হামলা। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে জবাবদিহিমূলক করতে গেলে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে ভেদাভেদ ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে আহ্বানের জানিয়ে ছিলেন সে বিষয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকিয়ে রাখবেন, ওনি মৃত্যুপথযাত্রী, ওনার জামিন দেবেন না। ওনাকে সাজা দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস আটক রাখবেন। বাংলাদেশে বিরোধী দলকে পুলিশ, র‌্যাব দিয়ে পেটাবেন। এটা দিয়ে জাতীয় ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি এগিয়ে যেতে পারে না।’জাগোনিউজ