বুধবার ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক বছর : প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ পায়নি শ্রমিকরা

  |   বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট

rana plaza

আসাদুজ্জামান আজম, ২৪ এপ্রিল : রানা প্লাজার ভয়াবহ ট্র্যাজেডির বছর পূর্তি আজ। গত বছরের এই দিনে ভয়াবহ ভবন ধসের ১১শ’রও বেশি শ্রমিক নিহত হয়। সে ট্র্যাজেডি কেবল বাংলাদেশে নয়, নাড়া দিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে। ভবন ধসের দুঃস্বপ্ন এখনো তাড়া করে বেড়ায় আহত ও পঙ্গুতবরণকারী শ্রমিকদের আর তাদের পরিবারের সদস্যদের। ট্র্যাজেডির এক বছরেও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরতে পারেননি রানা-প্লাজার শ্রমিকরা। প্রতিদিন লড়ে যাচ্ছেন অনিশ্চিত এক জীবনের সাথে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সমস্যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

সরকার, বিজিএমইএ, দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বার বার অনুদানের কথা বলা হলেও তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। গঠিত  অনুদান ফান্ডে কি পরিমান অর্থ জমা পড়েছে এবং কি পরিমান বিতরণ করা হয়েছে, নেই তার কোনো সঠিক তথ্য। একাধিকবার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবি জানানো হলেও সরকারের নিরবতা ভাঙ্গছে না। প্রতিশ্রুতি দিলেও এগিয়ে আসেনি বিদেশী রিটেইল প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়া ভবনে গার্মেন্টস কারখানা ছাড়াও আরও অন্তত দেড় শ’র মতো দোকান ছিল, যেগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে। বছর গড়িয়ে গেলেও  ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা এ যাবত  কোনো সহায়তাই পাননি। ভবণ ধসের এক বছর পরও আহত এক হাজার ৫৮ জন শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারেননি।

এ্যাকশনএইড ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর তথ্য মতে,  রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের  অধিকাংশই এখনো তাদের স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরতে পারেন নি। এর প্রধান দুটি কারণ হলো-ঘটনাজনিত শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশই এখনো কোন কাজে ফিরতে পারেন নি। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা, প্রায় ২৪ শতাংশ মানসিক সমস্যা এবং প্রায় সাড়ে সাত শতাংশ চাকরি পাচ্ছেন না।

অন্যদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি টিআইবি জানিয়েছে, রানা প্লাজা ধ্বস পরবর্তী  নেয়া ১০২টি উদ্যোগের মধ্যে ৩১ শতাংশ উদ্যোগ  বাস্তবায়িত হয়েছে, ৬০ শতাংশ উদ্যোগ বিভিন্ন পর্যায়ের অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং ৯ শতাংশ উদ্যোগ এখনো ফলপ্রসূ হয়নি। আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো সমন্বয়হীনতা । সমন্বয় এবং জবাবদিহিতা না থাকায়  কোন সুফল পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, বছর পেরিয়ে গেলেও রানা প্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের কি পরিমান অনুদান দেয়া হয়েছে, তার সঠিক তথ্য জানানো হচ্ছে না। শ্রমিকদের স্বার্থের বিষয়ে যথাযথ সমন্বয় জরুরী। শ্রমিকদের দীর্ঘমেয়াদী ও মৌলিক স্বার্থের বিষয়ে সরকার ও মালিক পক্ষের আরো বেশি ভূমিকা প্রত্যাশা করি।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রানা প্লাজা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ক্রেতাদের ট্রাষ্ট ফান্ডের আওতায় যে অর্থ দেয়া হবে সেটা ক্ষতিপূরণ কিনা এবং এর আইনগত ভিত্তি কি হবে সেটি নিয়ে বিদেশী ক্রেতাদের ধারণা স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে তা ছিল বিক্ষিপ্ত। এসব উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধ এবং স্থায়ী পুনর্বাসনে দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো প্রয়োজন

্ল্লবাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সহকারী নির্বাহী পরিচালক সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, সব উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। বেশি অভাব আইনি বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে। পোশাক মালিক ও ক্রেতারা আইনগতভাবে বাধ্য –এ মনোভাব নিয়ে কাজ করছে না।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল: রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তায় সরকার, বিজিএমইএ, ক্রেতা ও দাতা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কয়েকটি ফা- গঠন করা হয়েছে। বছর পেরিয়ে গেলেও গঠিত ফান্ডের অর্থ পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্তরা। নির্ধারণ হয়নি কে কত ক্ষতিপুরণ পাবেন এবং কিভাবে পাবেন। কোন ফা-ের অর্থ কিভাবে বিতরণ করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ  দেখা যায়নি। সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১২৭ কোটি ৬৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪৯ টাকা জমা পড়েছে । প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ৯ বারে ৯০৯ জনের মধ্যে ২২ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০ টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তবে অনেকেই এই তহবিল থেকে এখনো অনুদান পাননি।

আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন ড. হামিদা হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে কে কত টাকা দিয়েছেন, কত টাকা ব্যয় হয়েছে সেসব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিৎ। সব অর্থের স্বচ্ছতা থাকা দরকার।

এক বছরেও চার্জশিট হয়নি : রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক বছর পূর্ণ হলেও এ ঘটনার ৩টি মামলার চার্জশিট হয়নি। পোশাক শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ দুর্ঘটনায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনটি মামলার মধ্যে একটি করে পুলিশ। ওই মামলায় ত্রুটিপূর্ণ জেনেও শ্রমিকদের মৃত্যু মুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।  সরাসরি হত্যার অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নিহত শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শিউলী আক্তার। অপর মামলাটি বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করার অভিযোগে করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। তিনটি মামলাই তদন্ত করছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ কর।

এ ব্যাপরে  বিজয় কৃষ্ণ বলেন, ২৪ এপ্রিলের আগে চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হবে না। তবে আগামী মাসের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে পারব।

দায়েরকৃত মামলার আসামিদের মধ্যে রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক ওরফে খালেক কুলুসহ আট জন জামিনে রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের ২১ জনের মধ্যে ওই আট জন গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

প্রশ্নবিদ্ধ বিজিএমইএ : পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এঙপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন -বিজিএমইএ’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ফলপ্রসূ উদ্যোগ না নিয়ে  ক্ষতিপূরণ দিতে বিদেশি  ক্রেতাদের দিকেই তাকিয়ে আছে সংগঠনটি। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি সহায়তা তহবিল গঠন করে বিজিএমইএ। প্রত্যেক সদস্যকে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা করে তহবিলে জমা দেয়ার কথা থাকলেও পাঁচ হাজার ৪০০ সদস্যের মধ্যে বিজিএমইএর তহবিলে মাত্র এক হাজার ৮৪২ জন সদস্য সাড়ে ১৪ কোটি টাকা টাকা জমা দেয়। এর মধ্যে বিকেএমইএ দেয় এক কোটি টাকা।

বিজিএমইএ সূত্র জানায়, গঠিত তহবিল থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় তিন কোটি ৯০ লাখ, বেতন-ভাতা সাত কোটি ৬০ লাখ,প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দুই কোটি, প্রসূতি শ্রমিকদের সহায়তায় চার লাখ ২০ হাজার এবং উদ্ধার ও পুনর্বাসনকাজে ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। নতুন করে আর্থিক সহায়তা দিতে নারাজ পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সূত্র আরো জানায়, বিদেশী ২৮টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য চার কোটি ডলারের তহবিলে জমা হয়েছে মাত্র ১৭ মিলিয়ন ডলার। ওয়ালমার্ট, জেসিপেনির মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও অর্থ জমা দেয়নি। এখনও পর্যন্ত ট্রাষ্ট ফান্ডে যে ১৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে তার বেশিরভাগই দিয়েছে ইউরোপীয় ক্রেতারা। আমেরিকার ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে শুধু ওয়ালমার্ট। রানা প্লাজার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদেশী ১৫টি ব্র্যান্ড এখন পর্যন্ত কোন ধরনের আর্থিক সহযোগিতা দেয়নি এছাড়া ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রাইমার্ক ১ কোটি ডলার দিয়েছে। এ অর্থ পেয়েছেন নিউ ওয়েব বটমস কারখানার শ্রমিকরা।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম সভাপতি মোশরেফা মিশু বলেন, রানা প্লাজা ট্রাজেডির এক বছর পার হতে চললো। তবে আহত ও নিহত শ্রমিকদের প্রকৃত ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি। এতো দিন পার হলেও শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। বিজিএমইএ ও সরকার শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে নানা কুট কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার বলেন, বিজিএমইএ যা করছে, তা লজ্জাজনক। মালিকদের সংগঠনের সামর্থ্য মাত্র সাড়ে ১৪ কোটি টাকা, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এক বাটেঙপোর ফ্যাশন শোর জন্যই তো বিজিএমইএ কোটি কোটি টাকা খরচ করে।

গার্মেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, তাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন কর্মকা- বে্যয় করা অর্থের যথাযথ হিসাব প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট কোনো ওয়েবসাইট বা গণবিজ্ঞপ্তি আকারে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা জরুরি।

অ্যাকশনএইড পরিচালক ফারাহ্‌ কবীর বলেন, রানা প্লাজার ঘটনার পর পোশাক মালিক, ক্রেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। রানা প্লাজা ফান্ড আমরা করতে দেখেছি, কিন্তু তার লেনদেন এখনো দেখিনি। এক বছর অনেক সময়।

প্রতীকী ক্ষতিপূরণ : রানা প্লাজা ধসের এক বছর পূর্তির ২ দিন আগে  ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর তত্বাবধানে বিদেশী ক্রেতাদের দেয়া অর্থে ‘রানা প্লাজা ডোনার ট্রাস্ট ফান্ড’ নামে যে তহবিল হয়েছে। শ্রমমন্ত্রী গত মঙ্গলবার দুজনকে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে প্রতীকী ক্ষতিপূরণ তুলেছেন। বাকিদের প্রত্যেককেই মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

দিনের কর্মসূচি : রানা প্লাজার নিহত শ্রমিক স্মরণে পোশাক শিল্পের তিনটি সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ’র যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপাী বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৯ টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিজিএমইএ কমপ্লেঙে দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। সকাল ১১ টায় বিজিএমইএ’র উদ্যোগে বিজিএমইএ কমপ্লেঙ এর সম্মুখস্থ রাস্তায় শোক র‌্যালী হবে । সাড়ে ১১ টায় মিনিটে বিজিএমইএ প্রাঙ্গনে আহতদের জন্য দোয়া মাহফিল, দুপুর ১২:০১ মিনিটে রানা প্লাজার নিহত শ্রমিক শ্রমিক ভাই-বোনদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত হবে। দুপুর ১২:৩০ মিনিটে বিজিএমইএ অডিটোরিয়ামে রানা প্লাজার নিহত ও আহত শ্রমিক ভাই-বোনদের পরিবারদের সদস্যদেরকে নিয়ে একটি স্মরন সভা হবে, যেখানে অন্যান্যদের সাথে রানা প্লাজার অনাথ শিশূরা নিজেরা উপস্থিত থেকে তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলবে। এছাড়া দিনটিকে স্মরণ করতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ এপ্রিল ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা নামের ৯ তলা ভবন ধসে পড়ে। এসময় ভবনটিতে প্রায় তিন হাজার লোক ছিল। এর মধ্যে ১১শ’রও বেশি লোক নিহত হয়। যাদের অধিকাংশই ছিল ওই ভবনে থাকা পাঁচটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক।  আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রাায় ২ হাজার ৪ শ’ জনকে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২৩:৫১ | বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com