| রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর : পাঁচ ম্যাচে দুই জয় নিয়ে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে বিদায়ের দাঁড়প্রান্তে আবাহনী। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলেও আজ জিততেই হতো আবাহনীকে। কিন্তু দুই চিরপ্রতিত্বন্দ্বীর লড়াই শেষ পর্যন্ত জয়ী হলো মোহামেডান।
আবাহনীর দেয়া ১৭২ রানের স্কোর তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান ক্লাব। নুরুল হাসানের অপরাজিত ৭৯ রানের কল্যাণে জয় সহজ হয় মোহামেডানের জন্য। জহিরুল ইসলাম ও জুনায়েদ সিদ্দিকি শুরুটা যেমন প্রয়োজন ছিলো ঠিক তেমন ভাবেই করেছিলেন। যদিও ব্যক্তিগত ২২ রানে জহিরুল আউট হয়ে যান। এরপর ক্রিজে নামেন নুরুল হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এরা দুজন মিলে করেন ৭৮ রান করেন।
আর এতেই ব্যাকফুটে চলে যায় আবাহনী। জুনায়েদ সিদ্দিকি নাবিদ সামাদের বলে হামিদুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগ পর্যন্ত করেন ৪১ রান। জুনায়েদ আউট হলে নুরুল হাসান ও মুমিনুল হক দুজন মিলে জয় তুলে নিয়ে মাঠে ছাড়েন। নুরুল হাসান ৪৭ বলে বিধ্বংসী এ ইনিংস খেলেন। ৪৭ বলের মোকাবেলায় তিনি ১০ চার ও ২ ছয়ে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন।
অন্যপ্রান্তে মুমিনুল হক ১৯ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন। আবাহনী বোলারদের মধ্যে সৌম সরকার ও নাবিল সামাদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে মিজানুর রহমান ও সৌম সরকারের দৃঢ়তায় ১৭১ রানের ইনিংস খেলে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। যদিও মোহামেডান টস জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়।
শুরুটা ভালো করলে ওপেনার শামসুর রহমান নিজের ইনিংসটা টেনে বড় করতে পারেনি। ব্যক্তিগত ১৮ রান করে শরিফউল্লাহর বলে আউট হন এ ব্যাটসম্যান। শামসুর আউট হওয়ার পর পরই একই পথ ধরেন মিজানুর রহমান। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৫ বল খেলে করেন ৪১ রান ৭ চার ও এক ছয়ে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে এরপর সৌম সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মিলে ৬৪ রানের জুটি করেন। সৌম ৫২ রান করে দেওয়ান ছাব্বির বলে আউন হন এ ব্যাটসম্যান। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৭ রানে আউট হলে আর কোন ব্যাটসম্যানই দাড়তে পারেনি মোহামেডানের বোলারদের সামনে।
মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন দেওয়ান ছাব্বির। এছাড়া দেওয়ান ছাব্বির, ইলিয়াস সানি ও আলাউদ্দিন বাবু একটি করে উইকেট নেন।
Posted ০৯:১২ | রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin