বিএম. এ আবদুল্লাহ:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পল্লীতে স্বামী-সন্তানকে বেধে রেখে গৃহবধুকে (৪০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও লুট পাটের অভিযোগ উঠেছে।  ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ঝিলবুনিয়া গ্রামে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনিয়া পারভীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সরজমিনে গৃহকর্তা  (৫০), তার স্ত্রী(৪০) ও কলেজ পড়–য়া ছেলে (১৮) ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,  প্রতিদিনকার মত রাতের খাবার শেষে তারা যে যার মত ঘুমিয়ে পরেন। রাত আনুমানিক ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে যে কোন সময় তাদের বসত ঘরের সামনের পিড়ায় সিঁদ কেটে ৪ জনের মুখোশধারী  দুবৃত্ত তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর  দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে গৃহকর্তা ও তার ছেলেকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখে। প্রায় ৩ ঘন্টার মত অবস্থান করে সংঘবদ্ধ দুবৃত্তরা পালা করে ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। ঘরে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার( পৌনে ২ ভরি)  স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ২ বস্তা সুকনা শুপারী লুটে নিয়ে রাত আনুমানিক ৪ টার দিকে দুবৃত্তের দল গৃহ ত্যাগ করে। ভোর রাতে ছেলে কৌসলে নিজে বাধনমুক্ত হয়ে তার বাবাকে বাধনমুক্ত করে প্রতিবেশির বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানায়।

খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী ও এস আই জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে ঘটনার রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা চালায়।

দুপুর ২ টার দিকে মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনিয়া পারভীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেছেন।

পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধুকে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।  ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য গৃহবধুকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মামলার প্রস্তুতি চলছে।